ঝাড়খণ্ডের মতো এলাকায় লোকসভা নির্বাচনের সময় তীব্র উত্তাপের আশঙ্কায়, ভোটার, আধিকারিক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের উপর তাপপ্রবাহের প্রভাব হ্রাস করার জন্য একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। তবে এই তাপপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতেও। সেই জেলাগুলিতে এই ধরনের ব্যবস্থা করার জন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কমিশন।
বিশেষ ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে ভোটের সময় বাড়ানো, অস্থায়ী শেড বসানো, ওআরএস এবং লেবুজলের ব্যবস্থা করা, মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন রাখা।
লক্ষ্য ভোটদানের হার বাডা়নো
১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, ঝাড়খণ্ডে ১৩, ২০, ২৫ মে এবং ১ জুন ১৪টি আসনে ভোট হবে।
১.২৫ কোটি মহিলা সহ ২.৫৫ কোটিরও বেশি যোগ্য ভোটারের সঙ্গে, তাপপ্রবাহের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি, রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশন উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন। মোদী দেশ ও গণতন্ত্রের ‘বস্ত্রহরণ’ করছেন, জয়পুরে প্রথম প্রচার সভায় তোপ সোনিয়ার
২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ডে মোট ভোটদানের হার ছিল ৬৬.৮ শতাংশ, যা জাতীয় গড় ৬৭.৪ শতাংশের তুলনায় কম।
এ সমস্যা সমাধানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানোকে এবং বুথে অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা
এছাড়া খাবার জল, ওআরএস এবং লবণ ও চিনি মিশ্রিত লেবু জলের মতো সুবিধা পাওয়া যাবে এবং প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিকেল টিম মোতায়েন থাকবে।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে রবি কুমার আশ্বাস দিয়েছেন যে ভোটের সময় ভোটারদের সুরক্ষা এবং সুবিধার্থে এই ব্যবস্থাগুলি করা হয়েছে।
সিইও বলেন, ভোটারদের উপর তাপপ্রবাহের প্রভাব কমাতে তারা বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন। 'প্রথম ১০০ দিনেই...', লোকসভা ভোটে জিতেই 'ঝড়' তোলার ইঙ্গিত মোদীর
সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর
তিনি বলেন, 'ভোটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা ভোটের সময় বাড়াচ্ছি। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। এর অর্থ নির্বাচকরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী সকালের সময় বা দ্বিতীয়ার্ধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা শীঘ্রই 'আবকি বার, দিন ভর মাতদান' স্লোগান শুরু করব।'
রাজ্যের সমস্ত বুথে ১৫x১৫ ফুটের অস্থায়ী শেড তৈরি করা হচ্ছে। এবার সব বুথে ভোটগ্রহণকারী দল ও ভোটারদের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী শেড থাকবে।
বুথে পানীয় জলের সুবিধার পাশাপাশি নির্বাচিত বুথে ওআরএস এবং লবণ ও চিনি মিশ্রিত লেবু জলের ব্যবস্থা থাকবে।
সব বুথে পানীয় জল সরবরাহের জন্য দু'জন কর্মী মোতায়েন করা হবে। আমরা যেখানে সম্ভব পানীয় জলের জন্য মাটির পাত্র রাখার পরিকল্পনা করছি।
এবার মোট ২৯,৫২১টি পোলিং স্টেশনে ভোটগ্রহণ করা হবে, যা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ছিল ২৯,৪৬৪টি।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আকস্মিক জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে।
কুমার বলেন, "প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্যারামেডিক্যাল কর্মী মোতায়েন করা হবে এবং তাদের কাছে জীবনদায়ী ওষুধ, ওআরএস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সহ একটি মেডিকেল কিট থাকবে। জরুরি পরিষেবার জন্য মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা থাকবে।
আরও পড়ুন। দো লড়কন কি ফ্লপ ফিল্ম...', রাহুল-অখিলেশকে কটাক্ষ মোদীর