আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তামিলনাড়ুতে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চুক্তি সই হল ডিএমকে এবং কংগ্রেসের মধ্যে। বাংলা, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে যেখানে এখনও হাত শিবির আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা বের করতে পারেনি, সেখানে তামিলনাড়ুতে পুরনো সমীকরণেই আসন বণ্টন হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছে ডিএমকে। এদিকে পুদুচেরির একমাত্র আসনটিও কংগ্রেসকেই ছেড়ে দিয়েছেন স্ট্যালিন। এদিকে কংগ্রেস ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দলকে আসন ছেড়েছে ডিএমকে। এই আবহে এমকে স্ট্যালিনের দল মাত্র ২১টি আসনেই লড়বে বলে জানিয়েছে। (আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে পদত্যাগ নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে, কে এই অরুণ গোয়েল?)
আরও পড়ুন: 'আমরা ভারতের কাছে ক্ষমা চাইছি', অবশেষে হুঁশ ফিরবে মলদ্বীপের?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিসিকে-কে ২টি, সিপিআই-কে ২টি, সিপিএম-কে ২টি করে আসন ছেড়েছে ডিএমকে। এছাড়া এমডিএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ এবং কেএমডিকে-কে একটি করে আসন ছেড়েছে ডিএমকে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালেও এই একই ফর্মুলায় আসন ভাগাভাগি করেছিল ডিএমকে। ২০১৯ সালে তামিলনাড়ুর ৩৯টির মধ্যে ৩৮টি আসনই ডিএমকে-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে গিয়েছিল। এই আবহে ২০২৪ সালেও সেই একই ধরনের ফলাফলের আশা করছে ইন্ডিয়া জোট। এদিকে গতবারের তুলনায় এবারে এআইএডিএমকে-র হাল আরও খারাপ। এদিকে তামিলভূমে বিজেপি নিজেদের পায়ের তলার জমি শক্ত করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। (আরও পড়ুন: শরিফদের সমর্থনে পাক রাষ্ট্রপতি হলেন জরদারি, 'স্বচ্ছ ভোট',সার্টিফিকেট প্রতিপক্ষের)
আরও পড়ুন: সত্যিই কি নিজ্জরকাণ্ডে ভারতীয় যোগ? খলিস্তানি খুনের ভিডিয়ো প্রকাশ কানাডায়
এদিকে ডিএমকে-র তরফ থেকে আসন ভাগাভাগির চুক্তি সই করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। কংগ্রেসের তরফ থেকে চুক্তিপত্রে সই করেন দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের মুকুল ওয়াসনিক, তামিলনাড়ু কংগ্রেসের ইনচার্জ অজয় কুমারও সই করেন চুক্তিপত্রে। চেন্নাইতে ডিএমকে সদর দফতরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তামিলনাড়ু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সেলভাপেরুথাগাই বলেন, '৪০টি আসনেই (তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি মিলিয়ে) আমরা বিশাল ব্যবধানে জিতব।' তাঁর হাতে তখন কংগ্রেস ও ডিএমকের স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র। এদিকে চুক্তিপত্র সইয়ের পর কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, 'আমি নিশ্চিত যে গোটা দেশের সামনে তামিলনাড়ু একটি মডেল হয়ে উঠবে। জন সাধারণ বিরোধী, গরিব বিরোধী, বিভাজনকারী এই সরকারের পতন হবেই।'