ওড়িশার রাজনৈতিক অলিন্দে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শাসকদল বিজেডির সঙ্গে বিজেপির জোট সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন চলছিলই। এরপর যাবতীয় জল্পনার যবনিকা পতন করে ওড়িশার রাজ্য বিজেপির প্রধান মনমোহন সামাল জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁদের দল ভোটে একাই লড়বে। ফলে বিজেডি-বিজেপির জোট সম্ভাবনা আর থাকল না। ওড়িশায় ২১ লোকসভা আসন ও ১৪৭ টি বিধানসভা আসনের ভোটে বিজেপি একা লড়বে বলে জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
শুক্রবার ওড়িশার রাজনৈতিক সমীকরণে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য প্রধান মনমোহন সামাল বলছেন, ডবল ইঞ্জিনের সরকার না থাকায় ওড়িশায় উন্নয়ন হচ্ছে না। তবে একইসঙ্গে তিনি নবীন পট্টনায়ককে ধন্যবাদ জানান, কেন্দ্রের মোদী সরকারকে ক্রমাগত সমর্থন যোগানোর জন্য। এক সোশ্যাল মিডিয়া টুইটে ওড়িশায় বিজেপির প্রধান মনমোহন সামাল বলেন, ‘ওড়িশার ৪.৫ কোটি মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি একা লড়াই করবে ভোটে।’ তাঁর এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট যে ওড়িশায় বহু জল্পনার পরও শেষমেশ হচ্ছেনা বিজেপি ও বিজেডি জোট। এর আগে, শোনা গিয়েছিল, বিজেডি দাবি করেছিল, জোট হলে, কোনওপক্ষই যেন সরকার গঠনে অংশীদারি দাবি না করে। সেক্ষেত্রে ওড়িশায় বিজেডির নেতৃত্বে জোট সরকার এলে সেখানে বিজেপির কেউ পাবেন না মন্ত্রিত্ব আবার কেন্দ্রে বিজেপির নেতত্বাধীন জোটে এনডিএর মধ্যে থেকে বিজেডি কোনও সরকারে অংশীদারিত্ব নেবে না। এদিকে, বিজেডির এমন অবস্থান নিয়ে ওড়িশায় বিজেপির শিবির সেভাবে সন্তুষ্ট ছিল না। এছাড়াও ১৫ বছরের পুরনো স্মৃতির কথা মাথায় রেখে ওড়িশা বিজেপি একাংশ চাইছিল না বিজেডিকে সঙ্গে নিতে। এমনই দাবি বহু মিডিয়া রিপোর্টের।
এদিকে, বিজেডি নেতা ভিকে পান্ডিয়ানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, যে বিজেপি এবং বিজেডির মধ্যে আলোচনা রাজনীতির ঊর্ধ্বে ,কারণ মোদী বা পট্টনায়কেরই পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য জোটের প্রয়োজন ছিল না। তিনি বলছেন, দিল্লিতে মোদী সরকারের নির্বাচিত হতে বিজেডিকে লাগবে না, আর ওড়িশায় পট্টনায়ক সরকার তৈরিতে বিজেপির সমর্থন লাগবে না। কার্যত, তখনই স্পষ্ট হতে থাকে, পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে।