জনতার দরবারে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রিগেড সমাবেশের সেই ভিড় যাঁরা পরখ করেছেন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি দেখে নিয়েছেন। আর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সেই শক্তি এবং আত্মবিশ্বাসকে নিয়েই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। ইডি–সিবিআই লাগিয়েও মানুষের জনসমর্থন যে কমানো যায়নি তা প্রচার–পর্বে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো বোলপুর ও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বৈঠক করতে বীরভূমে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ, রবিবাসরীয় দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লোকসভা আসন প্রাপ্তি নিয়ে পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেখানে ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে এবার বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস ৩০ থেকে ৩৫ আসন পাবে, সংখ্যা বাড়তে পারে। ভোট শতাংশে গড়ে ৫৮ থেকে ৬২ শতাংশ ভোট তৃণমূলের। বিজেপির ভোট % কমবেশি ৩০ থেকে ৩২ শতাংশ। আসন পাঁচ থেকে ১১–র মধ্যে। বাম এবং কংগ্রেসের আসন 0। ২৪/০৩/২৪ –এর পরিস্থিতি অনুযায়ী।’ অর্থাৎ আজকের পরিস্থিতি অনুযায়ী এই সংখ্যা দেখতে পাচ্ছেন কুণাল।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল কংগ্রেস ৩০ থেকে ৩৫ আসন পাবে’, ভবিষ্যদ্বানী করে দিলেন কুণাল ঘোষ
অন্যদিকে হেলিকপ্টারে তারাপীঠে আসবেন অভিষেক। আশিসবাবুর কথা অনুযায়ী বোলপুর কেন্দ্রের ৪২ জন এবং বীরভূম কেন্দ্রের ৫৭ জন ছাড়াও নানা শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা ওই বৈঠকে যোগ দেবেন। কোনও সভা করার কথা নেই বলে জানান আশিসবাবু। তারাপীঠের একটি লজে ওই বৈঠক হবে। দলের সর্বভারতীয় নেতার বার্তার দিকেই তাকিয়ে তৃণমূল কর্মীরা। আশিসবাবু বলেন, ‘আগামী ৩ এপ্রিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তারাপীঠে আসবেন। প্রথমে তিনি সকলের মঙ্গল কামনায় মা তারার কাছে পুজো দেবেন। তারপরে একটি লজে তিনি দু’টি ইলেকশন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দু’টি কেন্দ্রের প্রচার এবং লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করবেন।’
এছাড়া অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। ২০২৩ সালের মে মাসে নবজোয়ার কর্মসূচিতে বীরভূমে এসে তারাপীঠ মন্দিরে দিয়েছিলেন। ঠিক একবছর পর আবার অভিষেক তারাপীঠে আসছেন। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের হস্তক্ষেপে তারাপীঠ মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন ঘটেছে। নানা উন্নয়নমূলক কাজ তারাপীঠকে আন্তর্জাতিক মানের তীর্থক্ষেত্রে পরিণত করেছে। পর্যটকদের আনাগোনায় এলাকার অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। ওইদিন অভিষেককে উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা এবং দেবীর প্রতিকৃতি তুলে দেওয়া হবে।’