দোলের দিনেও রাজনীতির প্রবেশ দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। কাঁকুড়গাছি এলাকায় বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ সরকারকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিশ্বজিৎ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই হামলা আসলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। দোলের দিন হওয়ায় বিষয়টি সেভাবে চাউর হয়নি। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। আর তার জেরেই এখন তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার প্রাক্কালে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠায় সরগরম পরিবেশ।
এদিকে বিশ্বজিৎ সরকার এমন মারধর খেয়ে হতচকিত। এই ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর নিহত হয়ে ছিলেন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ। অভিযোগ, সোমবার সকালে বাড়ির সামনেই তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে নারকেলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সকালে বাড়ির সামনে রাস্তা পরিষ্কার করছিলেন বিশ্বজিৎ। তখন হঠাৎ সেখানে হাজির হয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। আর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নয়া নির্দেশ, ভোট জিততে কী করতে হবে?
অন্যদিকে মারধরের মাত্রা বেশি ছিল বলে বিশ্বজিৎ সরকার জখম হন। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। এই ঘটনা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। তবে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে খবর। কেন বিশ্বজিৎকে মারধর করা হল? এই ঘটনার নেপথ্যে কি অন্য কিছু আছে? সত্যিই কি তৃণমূ কংগ্রেস জড়িত? এমন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার তদন্ত করতে নেমেছে পুলিশ। তবে বিশ্বজিৎ সরকার কাউকে চিনতে পারেনি বলে জানা যাচ্ছে। সুতরাং এটা রাজনৈতিক সংঘর্ষ কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এছাড়া আহত বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভয় দেখাতেই তাঁর উপরে হামলা করা হয়েছে। তার আগে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর ভাই বিজেপি নেতা অভিজিৎ সরকারের। তবে সে ঘটনার তদন্ত চলছে। সোমবার হামলার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী কাছাকাছি থাকা স্বত্বেও তাঁর উপরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেটা কেমন করে সম্ভব হল? উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনার পরে বিশ্বজিৎ সরকার সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের যুক্ত থাকার অভিযোগ জানান। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য ওই গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।