হাতে বলতে সময় আর একদিন। তারপরই প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হবে। কিন্তু এই আবহে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে বিজেপি। কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর নাকি দুটি বিয়ে। এই তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে এসে বিজেপি তুমুল আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। প্রথম দফার নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। তাঁর দুটি বিয়ে বলে দাবি বিজেপির। আর এই দাবি তুলে প্রার্থী পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জানাতে চলেছে বিজেপি। আজ, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ জানিয়েছে কোচবিহার জেলা বিজেপি।
এবার কোচবিহারে বিজেপির কঠিন লড়াই। এখানে নিশীথ প্রামাণিক বিজেপির প্রার্থী। যাঁর কনভয়ে গতকাল তল্লাশি চালায় পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা। ঠিক তার পরদিনই বিজেপির অভিযোগ, হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী একজন ব্যক্তি দুটি বিয়ে একই সঙ্গে করতে পারে না। কিন্তু জগদীশ বর্মা বসুনিয়া তাঁর নির্বাচন হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তাঁর স্ত্রীর নাম শুকতারা রায় বসুনিয়া। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এটা প্রকাশ্যে এসেছে যে, সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সংগীতা রায় বসুনিয়া তিনিও নিজের নির্বাচনী হলফনামায় স্বামী হিসেবে জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার নাম উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সাইকেল নিয়ে ছুটছেন নদিয়ার জেলাশাসক, মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন, কেন এমন ভূমিকায়?
এই তথ্যই এখন হাতিয়ার করে পথে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকে জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার মনোনয়ন বাতিল করার কথা জানিয়েছে বিজেপি। কারণ ভোটার তালিকায় শুকতারা রায় বসুনিয়া এবং সংগীতা রায় বসুনিয়া দু’জনেরই স্বামীর নাম জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। এই কথা জগদীশের হলফনামায় লেখা নেই। তাই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় নির্বাচন কমিশনকে মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন করা হচ্ছে।
এই আসনে বিজেপির এবার কঠিন লড়াই বুঝতে পেরেই এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। যার জন্য নির্বাচন কমিশনে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক চিঠি লিখে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বলেছেন। আর দুটি বিয়ের বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়া বলেছেন, ‘হিন্দু মেরেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী দ্বিতীয় স্ত্রীর কোনও উত্তরাধিকার সূত্র থাকে না। তাই শুকতারা রায় বসুনিয়াই আমার বৈবাহিক সূত্রে স্ত্রী। আর আমি তাঁর নামই নির্বাচনী হলফনামায় প্রকাশ করেছি। সঙ্গীতা বসুনিয়া তাঁর স্বামী হিসেবে জগদীশ বসুনিয়ার নাম লিখবে নাকি অন্য কারও নাম লিখবে সেটা তাঁর ব্যাপার।’