আর হাতে বলতে একদিন। তারপরই প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে। প্রথম দফায় ভোট রয়েছে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার। আগে এই আসনগুলি বিজেপির হাতে গেলেও এবার লড়াইটা কঠিন। তাই বারবার ছুটে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ। আর এখানে পড়ে থেকে প্রচার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেও প্রচার করে গিয়েছেন জোরকদমে। জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন হিসেবনিকেশ। বিজেপির কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে কোচবিহারে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য ভোটের দিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এখানে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার গ্রাউন্ড জিরো–তে নেমে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কারণ এখানে বারবার নিশীথ প্রামাণিক বনাম উদয়ন গুহর লড়াই দেখেছেন সাধারণ মানুষ। উদয়ন গুহকে ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনে আজ, বুধবার চিঠি লিখেছেন নিশীথ প্রামাণিক। তার উপর গতকাল নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে তল্লাশি করা হয়। তাতে ক্ষেপে ওঠেন নিশীথ। কোচবিহারের বাসিন্দাদের কাছে টাটকা হয়ে রয়েছে শীতলকুচির স্মৃতি। এবার যাতে সেসব না হয় তার জন্য সজাগ থাকবেন রাজ্যপাল। তাই তিনি ভোটের আগেই চলে আসছেন। আর নির্বাচনের দিন কোচবিহারে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন: কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর দুটি বিয়ে! মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে বিজেপি
অন্যদিকে কোচবিহার জেলা বিজেপি আজ নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করছে যাতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়। কারণ তাঁর নাকি দুটি বিয়ে। আর মনোনয়নপত্রে আছে একটি। আবার নিশীথের বিরুদ্ধে আছে মামলা। ফলে সরগরম হয়ে উঠেছে কোচবিহার। শীতলকুচিতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন মারা যান বলে অভিযোগ আছে। তাই নির্বাচন কমিশনের বাড়তি নজর রয়েছে কোচবিহারে। অশান্তির আশঙ্কা থেকেই এবার ভোট চলাকালীন কোচবিহারে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কোচবিহার রওনা হবেন তিনি। আর ফিরবেন শুক্রবা ভোট শেষের পর।
এছাড়া রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সেখানে ভোট আছে। তাই সরেজমিনে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। যদিও এই কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন রয়েছে। সেখানে রাখা হচ্ছে দু’জন বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারপরও নির্বাচন চলাকালীন কোচবিহারেই থাকবেন তিনি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখবেন রাজ্যপাল। ভোট মিটলে রাতে ফিরবেন কলকাতায়। আগেও রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির খবর শুনে সেখানে ছুটে গিয়েছেন রাজ্যপাল। এবারও যে তার অন্যথা হবে না জানিয়েছেন রাজভবনের বাসিন্দা।