কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এই রায় নিয়ে এখন বাংলায় বিতর্ক রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। এই আবহে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের প্রশ্ন করুন। প্রয়োজনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করুন।’
এদিন ভাতারের নির্বাচনী জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীও নাম না করে বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তাই নিজেকে বাঁচাতে পাল্টা ঘেরাও করার পথ বাতলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করার রায়কে বেআইনি বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি বলতেন, এখানে অসুবিধা আছে, এটা তোমার ভুল হয়েছে, তোমরা সংশোধন করো, আমরা করে দিতাম। ভুল তো যে কেউ করে দিতে পারে। সবটা কি আমি করি? আমি করি না। শিক্ষা দফতর আলাদা। এসএসসি আলাদা। প্রাথমিক বোর্ড, মাধ্যমিক বোর্ড, কলেজ কমিশন আলাদা। এগুলি তারা দেখে।’
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানকে শোকজ, নির্বাচন কমিশন জবাব তলব করল
এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘প্রতারক’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অধীর চৌধুরীও। শুভেন্দুর দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতির দায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘একজন গদ্দার বলল বোমা ফাটবে। আর তারপরই এসএসসি নিয়ে একতরফা রায় হয়ে গেল। বিজেপি পার্টি অফিস থেকে যেমন ড্রাফট করে দেওয়া হচ্ছে তেমনই রায় হচ্ছে। এটা বিজেপির বিচারালয়। পুরুলিয়ায় চাকরি বিক্রি করেছে গদ্দার।’
এই পরিস্থিতি কমব্যাট করতে মুখ্যমন্ত্রীর উপর দায় চাপিয়ে বাড়ি ঘেরাও করার কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজকের মিছিল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা বলেন, ‘শুধু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন উনি। দুটো কারণেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে আসেন। প্রথম, ভোট ব্যাঙ্কের জন্য। দ্বিতীয়, টাকা তোলার জন্য।’ শুভেন্দু দাবি করেছেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫টি চা–বাগান চালাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। অভিষেকের নিজের চা–বাগান আছে।’ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার চা–বাগান খুলবে বলে যে খোলেনি সেটা বলেননি শুভেন্দু।