শক্তিগড়ের জনপ্রিয় ল্যাংচা এখন লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে এসে পড়ল। আর তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ একদা যিনি ব্যাট ধরেছেন, রান করেছেন, বল করে বিপক্ষকে প্যাভেলিয়নে পাঠিয়েছেন তিনিই এবার দলের প্রয়োজনেই হাতা ধরলেন। আর ভাজলেন ল্যাংচা। তা দেখতে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়। তিনি ১৯৮৩ সালের ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের একটা অংশ। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে শক্তিগড়ে ল্যাংচা ভাজলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। দিনভর শক্তিগড় আর বড়শুলে নির্বাচনী প্রচার সারেন কীর্তি আজাদ।
কীর্তি আজাদ প্রচার করতে বেরিয়ে পৌঁছে যান ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে শক্তিগড়ে। সেখানের রাস্তায় একের পর এক ল্যাংচার দোকান। একটি দোকানে ঢুকে পড়লেন তিনি। আর ল্যাংচা ভাজলেন জোরকদমে। এর আগে ঢোল বাজিয়ে, নেচে, প্রকাশ্যে দোকানে চা বানিয়ে সাড়া ফেলে দেন কীর্তি। এবার ল্যাংচা ভেজে আর এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। হিন্দি গানের সুরে এবং আর একবার আদিবাসী ধামসা মাদলের তালে নাচতে দেখা গিয়েছিল কীর্তিকে। এবার ল্যাংচা ভেজে মানুষের মন জয় করলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতের টাকা পাঠাল নবান্ন, মান্যতা নির্বাচন কমিশনের নিয়মে
কথিত আছে, বর্ধমানের এক মহারাজ স্থানীয় এক মিষ্টি কারিগরের কাছে ভাজা মিষ্টি খেতে চেয়েছিলেন। ওই কারিগর তখন যে মিষ্টি তৈরি করে খাইয়েছিলেন তার নাম ল্যাংচা। পরে সেই ল্যাংচার নামেই এখন গোটা শক্তিগড় খুবই জনপ্রিয় হয়। এবার কীর্তি আজাদ যে দোকানে ঢুকে ল্যাংচা ভাজলেন সেই দোকানের মালিক সুব্রত দত্ত বলেন, ‘আমার খুব ভাল লেগেছে। এখানে কোনও দোকানে উত্তমকুমার এসেছেন, কোনও দোকানে প্রসেনজিৎ এসেছেন। এবারে আমিও বলতে পারব আমার দোকানে কীর্তি আজাদ এসেছিলেন। আমার দোকানেরও প্রচার বাড়বে।’
কিন্তু এই গোটা বিষয়টি কানে গিয়েছে বিপক্ষ প্রার্থী বিজেপির দিলীপ ঘোষের। তিনি এই ঘটনা নিয়ে বিশেষ আমল দিতে নারাজ। তাই কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এসব নাটক করে কোনও কাজ হবে না। এখন ল্যাংচা ভাজছে, কাল সীতাভোগ করবে। মানুষের সঙ্গে না মিশে ল্যাংচা ভেজে কিছু হবে না।’ যদিও দিলীপ ঘোষকে গতকাল দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসেরই মঞ্চে। ইদের দিন সেই মঞ্চ থেকেই সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিলীপ। সুতরাং ৪ জুন জানা যাবে এতকিছুর পর কে কোথায় দাঁড়িয়ে।