ভূপতিনগরে এনআইএ মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের এবং স্থানীয় মহিলাদের। এনআইএ’র এই কাজের বিরুদ্ধে আগেই সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কুণাল ঘোষ এনআইএ–বিজেপির গোপন আঁতাত ফাঁস করে দিলেন। কুণালের স্পষ্ট অভিযোগ, বিজেপির কথায় কাজ করছে এনআইএ। আর টাকার বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নাম দিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। তার পরই গ্রেফতার করছে এনআইএ। এটা আসলে গভীর ষড়যন্ত্র। বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল এনআইএ। আর তাতে মূল চক্রান্তকারী ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই দাবি তুলে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত ২৬ মার্চ এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়িতে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ধনরাম সিংয়ের বাড়ির ঠিকানা তুলে ধরে আজ, রবিবার কুণাল ঘোষ জানান, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যাবেলায় সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই বাড়িতে যান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানেই বাংলার কোন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে এনআইএ হানা দেবে সেটার তালিকা দেওয়া হয়। আবার একটি সাদা প্যাকেটও এনআইয়ের ওই অফিসারকে দেন জিতেন্দ্র। সেই প্যাকেটে টাকা ছিল কি না তা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছেন কুণাল। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এনআইএ কালকে ভোর ৪টের সময় ঢোকে। আর স্থানীয় থানাকে জানায় ৫টা ৪৫ নাগাদ। মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করা হয়।’
আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া জুটমিল বন্ধ হয়ে গেল, নির্বাচনের মুখে বিপদে পড়লেন ২৮০০ শ্রমিক
এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় ‘ষড়যন্ত্র’ তত্ত্ব সামনে এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। এবার এই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর। কুণাল ঘোষের কথায়, ‘২৬ মার্চ ২০২৪ এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিংয়ের কলকাতার বাড়িতে যান বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা লিস্ট দিয়ে কোন কোন এলাকায় কাদের গ্রেফতার করতে হবে বলে দেন। সেই তালিকা অনুযায়ী এনআইএ ঠিক করে যে তল্লাশি করে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কর্মীদের তুলে আনবে। ২৬ মার্চ ধনরাম সিংয়ের নিউটাউনের বাড়িতে পৌঁছন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।’
অন্যদিকে এনআইএ’র এসপি ধনরাম সিংয়ের বাড়ির ভিজিটার বুকের কপি তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। যেখানে পরিষ্কার হয়ে যায় এনআইএ এসপির বাড়িতে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেখানে যে ঠিকানা লেখা হয়, তা কলকাতায় তাঁর মেয়ের বাড়ির ঠিকানা। কুণাল ঘোষের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর যখন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হয়েছে ঠিক তখনই বিজেপির সঙ্গে এনআইএ’র অর্থের লেনদেন হয়েছে। যার প্রেক্ষিতেই শনিবার ভোররাতে ভূপতিনগরে হানা দেয় এনআইএ। তাই ধনরাম সিংয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হোক। ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ– বিজেপি যোগসাজশের সত্যতা নিয়ে কারও সংশয় থাকলে ভিডিয়ো রিলিজের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুণাল। এবার তৃণমূল কংগ্রেস যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে।