লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর গোটা দেশে আদর্শ আচরণবিধি চালু করা হয়েছে। তবে তার মধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই ঘটনা নিয়ে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘আইন সবার জন্য এক হওয়া উচিত’ বলে আওয়াজ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আজ, মঙ্গলবার শান্তির বার্তাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তির থেকে বড় কিছু হয় না। কোনও অশান্তিতে জড়াবেন না, কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। উত্তরবঙ্গ থেকে এই বার্তা দিলেন মু্খ্যমন্ত্রী। তবে উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী চালসার একটি চার্চে যান। তারপর আদিবাসী মহিলাদের নাচে পা মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বাজালেন ধামশা।
এদিকে জলপাইগুড়ির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এখন এখানেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাত থেকেই উদ্ধারকাজে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে মুখ্যমন্ত্রী। আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি মার্সি ফেলোশিপ চার্চে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই স্বল্প বক্তব্যের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। যখন আদর্শ আচরণবিধি চালু আছে, আমরা তো এসব পারি না। আইন আলাদা হবে কেন?’ গত ১ এপ্রিল ৯০ বছরে পা দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেশের অর্থনীতি নিয়ে ভাষণও দেন।
আরও পড়ুন: ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে, নির্বাচন কমিশনে নালিশ সিপিএমের
অন্যদিকে এই বিষয়টি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমরা আইন অমান্য করব না। তবে আমাদের বাজেটে বলা ছিল, আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার বিষয়টি আমরা মে মাস পর্যন্ত দেখব। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য না করলে আমরা নিজেরাই আবাসের ঘর করে দেব। যাতে কারও অসুবিধা না হয়।’ আর চার্চ কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘আমি আপনাদের স্মারকলিপি পড়ে নিয়েছি। কিন্তু এখন আদর্শ আচরণবিধি চলছে। ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন তো কিছু বলতে পারব না। কিন্তু মাথায় নিয়ে নিয়েছি। কোনও না কোনও উপায় বের করব।’
এছাড়া আজ চালসার চার্চ থেকে নিজের বক্তব্যে, বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থাকারই বার্তা দিয়েছেন। মমতার বক্তব্য, ‘আদর্শ আচরণ বিধি মেনেই সব কাজ করা হবে। ঝড়ে ৫০০০ বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন নিয়ম মেনে যা করার করবে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করা হয়েছে। আবাসের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। যাদের ঘর ভেঙে পড়েছে তাদের নাম ছিল তালিকায়।’