ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে তৃণমূল। এবার মাঠে নামছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরাট জনসভা হবে কৃষ্ণনগরে। আগামী ৩১ মার্চ নদিয়ার কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় মমতার সভা। ধুবুলিয়া সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে হবে এই সভা। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এই সভাকে সফল করতে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষ্ণনগরে সভা করেছিলেন। সেখান থেকে তিনি নানা ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন। তবে এবার সেই কৃষ্ণনগরের মাটিতে সভা করার সিদ্ধান্ত তৃণমূলের। সেখানে আবার সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সভাকে সফল করতে একেবারে আদা জল খেয়ে ময়দানে নামছে তৃণমূল। সব মিলিয়ে এবার একেবারে কৃষ্ণনগরে জোর টক্কর তৃণমূল ও বিজেপির।
কৃষ্ণনগরে এবার জোর লড়াই। একদিকে রাজমাতা অমৃতা রায়। বিজেপির প্রার্থী। কৃষ্ণনগর রাজবাড়িকে ঘিরে থাকা আবেগকে সামনে এনে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। এদিকে এই আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে তৃণমূলের তরফে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই সিটটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার বহুদিন আগেই কৃষ্ণনগর আসন থেকে মহুয়া মৈত্রর নাম ঘোষণা করেছিলেন খোদ নেত্রী। অন্যদিকে মহুয়াকে ঘুষ কাণ্ডে অভিযুক্ত করে সংসদ থেকে বহিস্কৃত করা হয়েছিল। এদিকে মহুয়া মৈত্রর বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিও অভিযানে নামে। সব মিলিয়ে এবার এই আসনে বেশ কঠিন লড়াই। আর সেই কঠিন লড়াইতে মহুয়া মৈত্রকে জয়ের পথ দেখাতে না পারলে কার্যত মর্যাদার লড়াইতে হেরে যাবে ঘাসফুল। সেকারণে এই আসনটার প্রতি বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
সেই সঙ্গেই একমাত্র এই আসনের প্রার্থীর নাম খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজে ঘোষণা করেছিলেন। সেক্ষেত্রে এই আসনে জেতাটা তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে ইতিমধ্যেই আবার বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ কৃষ্ণনগর আসনে তাঁকে কেন দাঁড় করানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, ভেবেছিলাম কৃষ্ণনগরে টিকিট পাব। হাওড়ায় আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে। ভেবেছিলাম কৃষ্ণনগর থেকে আমায় প্রার্থী করা হবে। কিন্তু সেটা করা হল না।
এদিকে বিজেপি এখনও সব জায়গায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি। ৩৮টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৪জনের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।