এবার কেন্দ্র বদল হয়েছে দিলীপ ঘোষের। গতবার তিনি মেদিনীপুরের প্রার্থী ছিলেন। এবার তিনি দুর্গাপুর-বর্ধমান কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এদিকে এই যে কেন্দ্র বদল তা নিয়ে কিছুটা হলেও অভিমানী দিলীপ ঘোষ?
তবে দিলীপ ঘোষ কার্যত পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের। রীতি মেনেই এই মান অভিমান নিয়ে বাইরে কিছু প্রকাশ করেননি। কার্যত পাকা খেলোয়াড়ের মতোই তিনি ফের লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছেন। তবে এবার তাঁর মা পুষ্পলতাদেবী মুখ খুলেছেন। তবে পুত্রের জেতার ব্যাপারে যে তিনি নিশ্চিত সেটাও অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের মা, ছেলে দলকে ভালোবেসেছে। কিন্তু দল ছেলেকে ভালোবাসেনি। সেই সঙ্গেই ছেলের জেতার ব্যাপারে একেবারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষের মা। যেখান থেকেই লড়াই হোক। ছেলে জিতবেই।
তবে গতবার মেদিনীপুরের প্রার্থী হয়েছিলেন দিলীপ। সেবার তিনি মাঝেমধ্য়েই বাড়িতে আসতেন। প্রচারের ফাঁকে চলে আসতেন বাড়িতে। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। এবার তাঁকে একেবারে মাটি কামড়ে লড়াই করতে হচ্ছে। যে জমিতে এতদিন তিনি চাষ করেছেন সেখান থেকে দল তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি দিলীপ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যেখানে কাজ করেছি সেখানে লড়াই করতে চাই। তারপর পার্টি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেনে নিচ্ছি। ১৮টা জিতে দেখিয়ে দিয়েছিলাম আমরা পারি। কঠিন নয়। তবে চ্যালেঞ্জটা আছে। কীর্তি আজাদকে কে জানেন? গোটা বাংলাকে আমি চিনি। ওখানে একসময় সাইকেল নিয়ে ঘুরেছি। কোনও মান অভিমান নয়।
২০১৯ সালে এই আসনে প্রার্থী ছিলেন সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। প্রায় আড়াই হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতাকে পরাজিত করেন তিনি। আর কেন্দ্র বদল করে কি তাঁকে অপমান করা হল? দিলীপ বলেন, ‘অপমান কি সম্মান জানি না। যার দম আছে সে লড়ে জিতে নেবে।’
ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তাঁর প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘উনি যে ক্রিকেটার ছিলেন সেটা কজন মনে রেখেছে।’ ‘বর্ধমানের পিচ আমার। আমিই ব্যাটসম্যান। প্রথম বলে ছক্কা আমিই মারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ধমানের মাঠঘাট সবই চেনা। এখানকার মানুষ আমায় ভালবাসে সুতরাং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা বিজেপির হাতে মুঠোয়।’ তবে দিলীপ ঘোষের বৃদ্ধা মা কিন্তু কিছুটা হলেও অভিমানী।