বাংলায় একের পর এক চমক প্রার্থী তালিকায়। তবে সবথেকে বড় চমক নিঃসন্দেহে রেখা পাত্র। বসিরহাট আসন থেকে প্রার্থী করা হল রেখাকে। আর এই রেখা হলেন সন্দেশখালির আন্দোলনের মুখ। সন্দেশখালির যে আন্দোলন গোটা দেশের কাছে তৃণমূলের অত্যাচারের ভয়াবহ নমুনাকে হাজির করেছে সেই আন্দোলনকে এবার কুর্নিশ জানাল বিজেপি। সন্দেশখালির আন্দোলনের মুখকে লোকসভায় নিয়ে যেতে এবার মরিয়া বিজেপি। বসিরহাট কেন্দ্র থেকে প্রার্থীকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। এই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন নুরুল ইসলাম। আর সেখানেই প্রার্থী করা হল রেখা পাত্রকে।
কে এই রেখা পাত্র? কোথায় বাড়ি তাঁর?
রেখা পাত্রের বাড়ি সন্দেশখালির পাত্র পাড়ায়। সন্দেশখালির মহিলারা যখন শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিলেন তখন একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন রেখা। আন্দোলনের অন্যতম মুখ হিসাবে উঠে এসেছিলেন তিনি। আর সেই রেখাকেই বসিরহাটে প্রার্থী করল বিজেপি।
বিজেপির এবারের প্রার্থী তালিকায় রয়েছে নানা চমক। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর থেকে। রায়গঞ্জ থেকে দেবশ্রী চৌধুরীকে রায়গঞ্জ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে দক্ষিণ কলকাতায়। তবে কিছুদিন আগেই তিনি রায়গঞ্জ থেকে পাততাড়ি গোটাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছিল। তাঁকে রায়গঞ্জ থেকে সরানো হচ্ছে বলে জল্পনা ছড়াচ্ছিল। তবে সেটাই সত্যি হল। কিন্তু বসিরহাটে রেখা পাত্রকে প্রার্থী করা হতে পারে এনিয়ে তেমন কোনও জল্পনা ছিল না। তবে বিজেপি কিন্তু অন্য অঙ্ক কষেছে। সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখকেই প্রার্থী করল বিজেপি।
এই সেই সন্দেশখালি। যে সন্দেশখালির অত্যাচারের কথা বার বার মনে করিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই সেই সন্দেশখালি যেখানকার অত্যাচারের কথা শুনে শিউরে উঠেছিলেন অনেকেই। এই সেই সন্দেশখালির যেখানকার প্রতিবাদকারীদের বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিল তৃণমূল। তাঁরা কেন মুখ ঢেকে থাকেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল।
রেখা পাত্র বলেন, মোদীজীকে অনেক ধন্য়বাদ। উনি আমার মতো একজন গ্রামের মহিলাকে প্রার্থী করেছেন। আমাকে প্রার্থী করা হয়েছে। আমি সর্বদা মা বোনেদের পাশে থাকব। আমি ওনাদের হয়ে প্রতিবাদ করব। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রেখা পাত্র।
কিন্তু কীভাবে রেখার নামকে বাছা হল?
সূত্রের খবর, সন্দেশখালি থেকেই নাম খুঁজছিল বিজেপি। তখন এই নামটা আসে। সেটা শুভেন্দু অধিকারী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। এরপর সেই মতো দলের রাজ্যস্তরে আলোচনা হয়। এরপর সেই নাম পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে। আর সেই নামেই শীলমোহর দিল বিজেপি।