বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। দাপিয়ে প্রচারও করছেন তিনি। কিন্তু তবুও কোথাও কি একটু তাল কাটছে প্রচারে?
সূত্রের খবর, পিয়া সাহার দাদার নাম তন্ময় সাহা। বোনের প্রচারে তো দাদারও থাকার কথা। কিন্তু তেমনটা আর হল কই! আসলে তন্ময় হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির হয়ে প্রচারে বের হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর কিছু সমস্যা তো রয়েছেই। ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পিয়া। এদিকে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই নজর কাড়েন পিয়া। প্রথমেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর দুবার তিনি সাঁইথিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু দুবার ভোটে দাঁড়ালেও তিনি ভোটে জিততে পারেননি।
এবছর তিনি বোলপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন। তবে পিয়ার শ্বশুরবাড়ি হল ৩ নম্বর ওয়ার্ডে।
তবে একই পরিবারের সদস্য় হয়েও তন্ময় কিন্তু তৃণমূলের প্রতিই তাঁর আনুগত্য বজায় রেখেছেন। শুক্রবার ফৈজুল্লাবাদে তৃণমূলের মহিলা সেলের বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তন্ময়। এমনকী পরিচয় করানোর সময় তন্ময়কে পিয়ার দাদা বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে বোন বিজেপিতে দাঁড়ালেও তাঁদের পারিবারিক সম্পর্কে কোথাও কোনও ফাটল ধরেনি। কারণ রাজনীতি আর পরিবার দুটোকে এক করে দেখছেন না তাঁরা। কারণ ভাই বোনের সম্পর্ক তো চির অটুট। রাজনৈতিক শত্রুতা সেখানে বাসা বাঁধেনি। এখনও ভাইফোঁটা, বিজয়ার প্রণাম সবই চলে দাদা-বোনের মধ্য়ে। তবে রাজনীতির আঙিনায় কিন্তু দুজনে দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বী।
শতাব্দী রায়কে জেতানোর জন্য প্রাণপণ খাটছেন তন্ময়। অন্যদিকে পিয়া লড়ছেন বোলপুর আসনটা ছিনিয়ে আনার জন্য। পিয়া সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, রাজনীতি যাই করি না কেন আর পাঁচজন ভাইবোনের মতোই আমাদের সম্পর্ক। তৃণমূল সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে ওঁকে আমার দাদা হিসাবে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের অনেক নেতার স্ত্রী, ভাই, বাবা আমাদের দলে আছেন। আমরা তাদের পারিবারিক পরিচয়কে ব্যবহার করে নোংরামি করি না।
তবে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একে অপরের বিপরীত মেরুতে, কিন্তু পারিবারিক ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্য়ে অবশ্য একেবারে মধুর সম্পর্ক। দুজনের পরিবারের লোকজনও জানাচ্ছেন রাজনৈতিক সম্পর্কের জেরে তাদের মধ্য়ে সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। কারণ ভাই বোনের সম্পর্ক তো চিরন্তন। আর সেই চিরন্তন সম্পর্কের এতটুকু অবনতি হয়নি।