অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কার্যত একাই গড়় রক্ষা করছেন তিনি। এবার যেন লড়াই আরও কঠিন। চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে তৃণমূল। রাস্তায় বের হলেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। বার বার মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন মুর্শিদাবাদের একদা রবীন হুড। রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরী। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে আসে, এবার অধীরের গড় কি নড়বড়ে?
সেই প্রশ্নের উত্তরে অধীরের সাফ কথা আমার গড় নড়বড়ে নয়।নড়বড়ে হলে আমি বিক্ষোভ দেখাতাম। কিন্তু কেসটা উল্টো হচ্ছে। সেই সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে ফের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন অধীর চৌধুরী।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি মমতাকে নিশানা করে একই ধরনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন। তিনি বলেন, নীতীশ কুমার যেমন পাল্টুকুমার হয়ে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন তেমন বাংলার দিদিও পাল্টিকুমারী হয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।
সেই সঙ্গেই ফের এদিন অধীর বলেন, বহরমপুরে আমি হারলে রাজনীতি থেকে ছুট্টি নিয়ে নেব। এত বড় কথা বলে দিলাম আজকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য় কি কি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বলতে পারবেন যে বহরমপুর জিতলে তাঁর জয় বা হারলে তাঁর হার হবে?
সেই সঙ্গেই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং প্রসঙ্গে অধীর বলেন, বোঝাপড়া রয়েছে বলেই অনেক ঢক্কা নিনাদের পর ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি ওইরকম প্রার্থী দিয়েছে। যাতে খোকাবাবুর অসুবিধা না হয়। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া রয়েছে বলেই বাংলায় আরএসএসের শাখা আজ এত বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, আমার সঙ্গে মমতার বিরোধ সর্বজনবিদিত। উনি কি কখনও বলেছিলেন অধীর থাকলে ইন্ডিয়া জোটে থাকব না?
সব মিলিয়ে এবার অধীরের লড়াই যে বিগতদিনের তুলনায় কঠিন সেটা বলাই যায়। তবে অধীররঞ্জন যে অত সহজে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে বেরিয়ে যান না, সেটা আগের একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে। এবারও অধীর একেবারে স্বমহিমায়। একের পর এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন তিনি তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে।
অধীর বলেন, বহরমপুরে আমি হারলে রাজনীতি থেকে ছুট্টি নিয়ে নেব। এত বড় কথা বলে দিলাম আজকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য় কি কি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বলতে পারবেন যে বহরমপুর জিতলে তাঁর জয় বা হারলে তাঁর হার হবে?
তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তৃণমূল কি এই চ্যালেঞ্জ আদৌ গ্রহণ করতে পারবে?