লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে আবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই নিয়ে তিনবার এমন ঘটনা ঘটল। প্রথমবার এমন হতেই রাস্তায় এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে চড়–থাপ্পড় মারেন অধীর বলে অভিযোগ। দ্বিতীয়বার সন্ধ্যেবেলায় একজনের মুখ ফাটিয়ে দেন অধীর বলে অভিযোগ। এবার তৃতীয়বারও গো–ব্যাক স্লোগান শুনলেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁকে ঘিরে আজ, শনিবার ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের নওদায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। হেঁটে প্রচার করার সময় অধীর শুনলেন ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান।
আগে বহরমপুরে এমন পরিস্থিতিতে কখনও পড়তে হয়নি অধীর চৌধুরীকে। এখন বারবার পড়তে হচ্ছে। তাহলে কি অধীরের ধার কমে গিয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূল ভয় পেয়ে এসব কাণ্ড করছে। এবার পাঁচবারের সাংসদকে ঠেকানো যাবে না। শনিবার সকালে নওদায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। তখন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির নির্দেশে দলীয় কর্মীরা তাঁকে দেখে ‘গো–ব্যাক’ স্লোগান দেয় বলে অভিযোগ। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, পাঁচবারের সাংসদ হলেও নওদায় কোনও উন্নতি হয়নি। তাই অধীরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা শুরু হলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কোনও কথা খরচ করলেন না মুখ্যমন্ত্রী, নেপথ্য কারণ কী?
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান ওরফে হাবিব মাস্টারের নেতৃত্বে অধীর চৌধুরীকে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। হাবিব মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আবু তাহের খানের ভাগ্নে। অধীরের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা তেড়ে আসেন কংগ্রেসের কর্মীরা। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খায় পুলিশ। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কংগ্রেস এলাকার উন্নয়নে নজর না দেওয়ায় লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিক্ষোভের শিকার হচ্ছেন অধীর।
অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে বারবার পড়ে অধীর চৌধুরীর প্রচার কার্যত লাটে উঠেছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান ফাটিয়ে প্রচার করে চলেছেন। সেখানে ব্যাপক মানুষের সমাগম হচ্ছে। আর অধীরের প্রচারে শুধুই বিশৃঙ্খলা। এটাই দেখতে পাচ্ছেন বাংলার মানুষ। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অধীর চৌধুরী সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই সব কিছুই হচ্ছে তৃণমূলের উসকানিতে। আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে চেয়েছিল এভাবে। কিন্তু তা করতে পারেনি। আমরা ওখানেই অনুষ্ঠান করেছি। ওইসব তৃণমূলের গুন্ডাদের দেখে দমে যাওয়ার লোক অধীর চৌধুরী নয়।’