রাজভবনের দেওয়া গুন্ডাদের তালিকা ফাঁস হয়ে গিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজভবন যে তালিকা দিয়েছিল, তা রাজ্যের প্রথমসারির রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ফাঁস দেওয়া হতে পারে। যদি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের কোনও আধিকারিক সেই কাজ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন রাজ্যপাল। যদিও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি।
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'রাজ্যের প্রথমসারির রাজনীতিবিদদের কাছে সন্দেহভাজন অপরাধীর নামের তালিকা ফাঁস করে থাকতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিক।' আর সেই তালিকা ফাঁস করে দেওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় অশান্তি রুখতে যে চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যপাল, তাতে সম্ভবত বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন ওই সূত্র। যদিও কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে সেই তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে রাজভবন, তা নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
রাজভবনের তরফে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের দায়ের করা অভিযোগের ৪৮ ঘণ্টা পরই করা হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের তরফে অভিযোগ করা হয় যে লোকসভা নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন রাজ্যপাল। যিনি ভোটের দিন কোচবিহারেও যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য কমিশনের সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আছেন।
গুন্ডা ও সমাজবিরোধীদের নিয়ে তালিকা রাজ্যপালের
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূত্র জানিয়েছেন যে রাজভবনে খোলা পিসরুমে যে অভিযোগ জমা পড়েছে, সেটার ভিত্তিতে গুন্ডা এবং সমাজবিরোধীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সফরের সময় রাজ্যপাল তৃণমূল স্তর থেকে যে সব বিষয় জানতে পেরেছেন, তাও কাজে লাগানো হয় বলে দাবি করেছেন ওই সূত্র।
সেই তালিকা ফাঁস হয়ে যাওয়া নিয়ে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, সেটার প্রেক্ষিতে নিয়ম মেনে কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে রাজভবন। ওই সূত্র উদ্ধৃত করে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'গুন্ডাদের সংবেদনশীল তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখার দায়িত্ব ছিল বাংলার নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষের।'