২০২৪ সালের লোকসভার আগে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তার প্রভাব লোকসভাতেও পড়বে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই অবস্থায় সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানালেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
আরও পড়ুন: উত্তর ভারতে আপেরও নীচে কংগ্রেস, লজ্জা বাঁচাল দক্ষিণ, কোন কোন রাজ্যে ক্ষমতায় BJP?
বিধানসভা ভোটের ফলাফল লোকসভাতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? তা নিয়ে শরদ পাওয়ারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে তিনি মনে করেন না যে এই নির্বাচনের ফলাফল বিরোধী জোট ইন্ডিয়াতে কোনও প্রভাব ফেলবে। তবে কী কারণে কংগ্রেসের হার হল তা বিশ্লেষণ করার জন্য বিরোধী বৈঠকে আলোচনা করবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শরদ পাওয়ার জানান, আগামী ৬ ডিসেম্বর কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খগড়ের দিল্লির বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হবে। তিনি বলেন, ‘এই বৈঠকে আমরা ফলাফলের বিশ্লেষণ করব৷ আমরা এই রাজ্যগুলির বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে ফলাফলের বিশদ বিবরণ পাব এবং তারপরে আমরা ফলাফল সম্পর্কে আমাদের সাধারণ মতামত প্রকাশ করব।’
এই বৈঠকে শারদ পাওয়ার, শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে সহ অন্যান্য দলের নেতার উপস্থিত থাকবেন। এনসিপি প্রধান জানান, তিনি নির্বাচনী প্রচারের সময় চারটি রাজ্যের একটিতেও সফর করেননি তাই তিনি সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত নন।শরদ পাওয়ার বলেন, ‘আমাদের বৈঠক শেষ হলে বলতে পারব আমাদের পরিস্থিতি কী?’ যদিও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের নেতারা। সেপ্রসঙ্গে শরদ পাওয়ারকে জিজ্ঞাসা হলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এই সম্পর্কিত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। কোনও প্রমাণ তথ্য ছাড়া পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে কোনও মতামত প্রকাশ করা ঠিক হবে বলে মনে করি না।’
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতারা যেখানে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন সেখানে মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে চলেছে। গত সাড়ে নয় বছরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। রেলপথ, মহাসড়ক, মহাসড়ক সবই সম্প্রসারিত হচ্ছে। তিনি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই কারণেই আমরা এনডিএ–র সাথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ইভিএমে কারচুপির প্রসঙ্গে অজিত পাওয়ার জানান, কিছু রাজনৈতিক নেতাদের প্রচার করা তত্ত্বে তিনি বিশ্বাস করেন না।