সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা রোড–শো করলেন মমতা–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনস্রোতে তখন ভাসছে ত্রিপুরার রাজপথ। কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় দেখা গেল আগরতলায়। হাজারে হাজারে মানুষ পা মেলালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জননেত্রীর সঙ্গে। আর তাতে উৎসাহিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তিনি জানিয়ে দিলেন, যাঁরা আজ মিছিলে হাঁটলেন তাঁরা ভোট দিলেই ত্রিপুরা থেকে উৎখাত হয়ে যাবে বিজেপি। তুমুল হর্ষধ্বনিতে তখন সাক্ষী দেন জনতা জনার্দন।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? আজ, মঙ্গলবার রোড–শো করে ব্যাপক সাড়া পায় তৃণমূল কংগ্রেস। রোড–শো করার পর সভামঞ্চ থেকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘যত সংখ্যায় মানুষ আজকে রোড–শোতে অংশ নিয়েছেন, যেভাবে সভানেত্রীকে একবার দেখবেন বলে মানুষ বাইরে বেরিয়ে এসেছেন, তাঁরা যদি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তাহলেই ভারতীয় জনতা পার্টি ভোকাট্টা হয়ে যাবে। আগরতলার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বিজেপি।’ আর তখন স্লোগান উঠল—‘ঘাসের উপর জোড়াফুল, ত্রিপুরা বাঁচাবে তৃণমূল।’
ডবল ইঞ্জিন নিয়ে কী বললেন অভিষেক? আজ, অভিষেক–মমতার ব্যানারে ছয়লাপ হতে দেখল উত্তর–পূর্বের রাজ্যের বাসিন্দারা। অভিষেক আজ ডবল ইঞ্জিন সরকারের তত্ত্বই পালটে দিয়ে বলেন, ‘ডবল ইঞ্জিনের একটা ইঞ্জিন সিবিআই, আর একটা ইঞ্জিন ইডি। এখানে রাজ্যও চুরি করবে, কেন্দ্রও চুরি করবে। কেউ কাউকে ধরবে না। তাই ত্রিপুরা আর ডবল ইঞ্জিন সরকার চায় না। চায় বাংলার সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার। আগামী মার্চ থেকে দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে উন্নয়ন চাই। মমতার নেতৃত্বে ত্রিপুরার মাটিতে পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তৃণমূলের উপর আক্রমণ নিয়ে কী বললেন? অভিষেকের সাফ কথা, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই। বিজেপির বিকল্প যে সিপিএম–কংগ্রেস হতে পারে না, সেটা এদিন খোলসা করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই তিনি বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ত্রিপুরা সিপিএমের অপশাসন দেখেছে। বাংলা এবং ত্রিপুরা দুটি রাজ্যকে ধ্বংসাবশেষ করে দিয়েছে বামেরা। সিপিএমের সেই হার্মাদরাই আজ বিজেপির জল্লাদ। আমাদের দলের মহিলানেত্রীর গাড়ির উপর হামলা করা হয়েছে। আমাদের কত কর্মীকে মিথ্যে মামলায় জেলে ঢোকানো হয়েছে। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র তৃণমূলই। এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না। মাটি কামড়ে লড়াই করুন। আমি আগামী দিনে আবার ত্রিপুরায় আসব।’