উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের ঠিক একদিন আগে যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন অখিলেশ যাদব। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ অভিযোগ করেন যে, ' ইভিএম নিয়ে যাওয়ার সময় বারাণসীর জেলাশাসক খবর দেননি স্থানীয় প্রার্থীকে। নির্বাচন কমিশনের উচিত বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা।' অখিলেশের বার্তা, এভাবে যদি ইভিএম নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে।
এদিন যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অখিলেশ জানান,তারা চাইলেই আদালতে যেতে পারেন, তবে তার আগে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। অখিলেশ বলেন, সমাজবাদী পার্টি অযোধ্যায় জিতছে, আর সেই কারণেই বিজেপি ভয় পেয়েছে। তিনি বলেন, অযোধ্যায় সমাজবাদী পার্টির জেতার আভাস পেতেই নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা ইভিএমএ কারচুপি করছেন। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, 'বিজেপি জিতছে এমন ধারণা তৈরি করতে বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি প্রকাশ্যে আনা হয়। এটা গণতন্ত্র রক্ষার শেষ লড়াই। ইভিএম সরানো হচ্ছে স্থানীয় প্রার্থীকে না জানিয়ে।'
এদিকে অখিলেশ যাদবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জেলাশাসক কুশল রাজ শর্মা। তিনি বলেন, আগামীকাল যাঁরা কাউন্টিং ওয়ার্কার রয়েছেন, তাঁদের দ্বিতীয় ট্রেনিংয়ের জন্য ইভিএম পাঠানো হচ্ছে। আর তার পরিবহন মাঝ রাস্তাতে কয়েকজন মিলে আটকে দেন। সেই থেকেই শুরু হয় বিভ্রান্তি। অনেকে মনে করছেন এই ইভিএম ভোটের ইভিএম।
উল্লেখ্য, এর আগে ৭ মার্চ উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়। তারপরই সোমবার রাতে আসে বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল। সেখানে দেখা যায় ৪০৩ আসনের উত্তরপ্রদেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের বিজেপি আসতে চলেছে মসনদে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় বহু প্রতিষ্ঠানই আভাস দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের তখতে ফের যোগী সরকার আসছে বলে। এরপরদিনই বিরোধী নেতা অখিলেশ যাদব এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আর সেখানে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।