কংগ্রেসের আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াতে প্রচারে আসছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। এনসিপির তরফে জানানো হয়েছে, দোলের পর আগামী ১ এপ্রিল রাজ্যে আসছেন পাওয়ার। রাজ্যে ভোটের প্রচার যখন তুঙ্গে, তখন মমতার হাত শক্ত করতে পাওয়ারের প্রচারে আসার সিদ্ধান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
বৃহস্পতিবার এনসিপি মুখপাত্র মহেশ তাপাসে জানান, ১ এপ্রিল থেকে টানা তিন দিন বাংলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করবেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার।বিভিন্ন জায়গায় জনসভার পাশাপাশি তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকও করবেন তিনি।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শরদ পাওয়ারের এই আসা রাজনৈতিক দিক থেকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই রাজ্যে যখন তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে বিজেপি, তখন বিজেপিকে ঠেকাতে মমতার সমর্থনে শরদ পাওয়ারের প্রচার রাজনৈতিক দিক থেকে বিশেষ বার্তাই বহন করে। তবে পাওয়ার কোন কোন জায়গায় প্রচারে যাবেন, সে বিষয়ে অবশ্য এখনই কিছু জানা যায়নি।উল্লেখ্য, আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রামে ভোট। এরপর তৃতীয় দফার ভোট রয়েছে ৬ এপ্রিল।
কিছুদিন আগে পাওয়ারকে চিঠি লিখে প্রচারে না আসার আর্জি জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। যেহেতু এই রাজ্যে বাম–কংগ্রেস জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নামছে এবং শরদ পাওয়ারের এনসিপিও যেহেতু ইউপিএ জোটের অন্যতম শরিক দল, তাই মমতার হয়ে প্রচারে না আসার অনুরোধ করেছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। কিন্তু কংগ্রেসের আপত্তি এনসিপি প্রধান মানলেন না। প্রচারে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। জানা যাচ্ছে, শুধু শরদ পাওয়ার নন, এবারে রাজ্যে প্রচারে আসতে পারেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।