এবার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার প্রচারের উপর ৪৮ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কোনও প্রচার করতে পারবেন না হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী। তার ফলে পঞ্চম দফার ভোটের আগে তিনি আর প্রচার করতে পারবেন না। পাশাপাশি শীতলকুচি কাণ্ডে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়েও কমিশনের কাছে জবাব তলব করল নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল সকাল ১০টার মধ্যে জবাব দিতে হবে দিলীপ ঘোষকে।
এর আগে, গতকাল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, মমতার প্রচারের উপর যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, তাহলে রাহুল সিনহা ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের উপর কেন নিষেধাজ্ঞা জারি হবে না।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিজেপি প্রার্থী যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, তাতে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। এই ধরনের মন্তব্য করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বিজেপি নেতা।
কী বলেছিলেন এই বিজেপি নেতা? গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জওয়ানদের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিক কাজই করেছে। ৪ জন কেন, ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল। বিজেপি নেতার এই মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তাঁর কথায়, যারা এভাবে গুলি করে মারার কথা বলে, তাদের ব্যান করে দেওয়া উচিত। এর আগে শীতলকুচিকাণ্ড নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ মন্তব্য করেছিলেন, জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে।