ভোট মিটলেও পশ্চিমবঙ্গের স্পর্শকাতর এলাকাগুলি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাবে না কমিশন। শুক্রবার কমিশনের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক একথা জানিয়েছেন। অশান্তি ছড়ালে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে কমিশেনর তরফে।
বৃহস্পতিবার ভোট মিটলেও পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর মিলেছে। নন্দীগ্রামে তৃণমূল – বিজেপি সংঘর্ষ থামাতে নেমেছে RAF. কেশপুরে আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেছেন বিজেপি কর্মীরা। তারই মধ্যে নন্দীগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে বলে সতর্ক করে কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
লক্ষণ ভাল নয় বুঝে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘যেখানে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে সেখানে তো আগেভাগে বাহিনী মোতায়েন হচ্ছেই। সঙ্গে যেখানে ভোট মিটে গিয়েছে সেখানেও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে কিছু বাহিনী রেখে দেওয়া হচ্ছে।’
পশ্চিমবঙ্গে ভোটগ্রহণের পর বা ফলপ্রকাশের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষ কোনও নতুন কথা নয়। এলাকা দখলের লড়াইয়ে প্রাণহানিও ঘটে প্রায়শই। বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে সংঘর্ষ থামাতে নাজেহাল হতে হয় স্থানীয় পুলিশকে। এই ধরণের সংঘর্ষের দায় নিতে চায় না কোনও রাজনৈতিক দলই।