বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত হিন্দুরা। পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জে হামলা হল হিন্দুদের ওপর। মঙ্গলবার রাতে এই হামলায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মারধরের পাশাপাশি মন্দিরও ভাঙচুর করে সন্ত্রাসবাদীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ পিক আপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে করে প্রায় ৬০ – ৭০ জন সন্ত্রাসবাদী মুন্সিগঞ্জের কদমতলা গ্রামে হামলা চালায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আকবর হোসেনের নেতৃত্বে চলে হামলা। লাঠি-বাঁশ ও ইট-পাটকেল দিয়ে বেধড়র মারধর ও ভাঙচুর করা হয়।
আক্রান্ত গোবিন্দ বাউলিয়া জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের এক অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াকে উত্তক্ত করছিল পল্লব মণ্ডল নামে এক স্থানীয় এক যুবক। স্থানীয়রা তাঁকে সতর্ক করলে রাতে হামলা চালায় প্রায় ৭০ জন সন্ত্রাসবাদীর দল। কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। বাধা দিলে লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় পরিবারের সদস্যদের। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে রাতে সেখানে পৌঁছয় শ্যামনগর থানার পুলিশ। পুলিশ পৌঁছলে সন্ত্রাসবাদীরা এলাকা ছেড়ে পালায়। ওসি নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, ‘প্রেমঘটিত ব্যাপার নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। সন্ত্রাসবাদীরা ২টি বাড়ি ও ১টি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। কয়েকজনকে আহত করেছে তারা।’
বুধবার সকালে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।