তৃতীয় দফার ভোটের আগে যেন ধপ করে পড়ে গেল জনসমর্থন। আর তার জেরে পিছিয়ে আসতে হল জনসভা থেকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সভায় এমনই ঘটনা ঘটল। যার জেরে তল্পিতল্পা গুটিয়ে সোজা চলে আসতে হল কলকাতায়। সেখানে সভা করা হয়। অন্তত মুখ বাঁচানোর ঐকান্তিক কৌশল আর কি! তবে এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের মুখ পুড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
হাওড়ার বালি কেন্দ্রের পুনরাবৃত্তি যেন ঘটল শ্রীরামপুরে। বালি কেন্দ্রের জনসভায় ভিড় না হওয়ার কারণেই বিজেপির রোড–শোয়ে সামান্য থেকেই চলে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। আবার প্রথম দফার নির্বাচনের আগে ঝাড়গ্রামে, সভা না করেই ফিরে যান তিনি। কারণ ভিড় নেই। এবার একই পরিস্থিতি তৈরি হল হুগলির শ্রীরামপুরে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর পর জনসভায় হুগলিতে জনপ্লাবন। অন্যদিকে সোমবার শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে জেপি নড্ডার সভা হওয়ার কথা থাকলেও জনসমাগম ছিঁটেফোঁটাও হয়নি। অগত্যা মাঠ যেন ধূ ধূ প্রান্তর। তাই বাতিল ঘোষণা করা হল নড্ডার সভা। যে কতগুলি মানুষ সভাস্থলে এসেছিলেন তাঁরাও হাঁটা লাগান।
এরপর মুখ বাঁচাতে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দিল্লিতে জরুরি বৈঠকের জন্য সব রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, নবান্ন দখলের লক্ষ্যে প্রভাবশালী নেতাদের এনে বাংলায় সভা–সমাবেশ করাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেখানে যোগী আদিত্যনাথ থেকে শিবরাজ সিং চৌহানের মতো নেতারাও প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বাংলায় আসছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভিন রাজ্যের নেতাদের সমাবেশে তেমন চোখে পড়ার মতো ভিড় হচ্ছে না। সেখানে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার মতো নেতার সভাও ভিড়ের কারণে বাতিল করতে হচ্ছে, বিষয়টি ভোটের মুখে বিজেপিকে বিড়ম্বনাতেই ফেলছে।
অন্যদিকে বালির বিজেপি প্রার্থী বৈশালী ডালমিয়াকে ঘিরে বিক্ষোভ, গো–ব্যাক স্লোগানের মাধ্যমে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সোমবার বেলুড়ের ভোটবাগান এলাকায় প্রচারে যান সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলবদলু নেত্রী তথা বালির বিজেপি প্রার্থী বৈশালী। তাঁর অভিযোগ, প্রচার আটকাতে বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পালটা দাবি, করোনার সময় দেখা মেলেনি বৈশালী ডালমিয়ার। তাই প্রচারে বেরিয়ে আমজনতার রোষের মুখে পড়েছেন তিনি।