ভোট ঘোষণার পর প্রথম বৈঠকে ঘেঁটে ‘ঘ’ আব্বাসের সঙ্গে বাম – কংগ্রেসের জোট। সোমবার বিমান বসুর সঙ্গে অধীর চৌধুরীর বৈঠকের পর এমনটাই জানা গিয়েছে। এদিনের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে বিমানবাবু স্পষ্ট করেন, রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে কংগ্রেস নিয়ে যা বলেছেন আব্বাস সিদ্দিকি তাতে সায় নেই বামেদের। এদিনও আসন সমঝোতার চূড়ান্ত ছবি প্রকাশ করতে পারেনি কোনও পক্ষই।
এদিন আব্বাসের মন্তব্য নিয়ে বিমানবাবু বলেন, ‘জোটের একটা সর্বসম্মত মত থাকে। তার বাইরে কারও কিছু বলা উচিত নয়। আশাকরি সবাই এটা বুঝতে পারবে।’
অধীর চৌধুরী বলেন, ‘বামেদের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া একরকমভাবে এগোচ্ছিল। বহু আসনে সমঝোতা হয়ে গিয়েছিল। সেই সব আসন নিয়ে নতুন করে আলোচনা করতে হচ্ছে। যার ফলে একটু সময় লাগছে।’
ওদিকে আব্বাসের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সমালোচনার মুখে পড়েছেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা টুইটারে লিখেছেন, আব্বাসের সঙ্গে জোট করার আগে ওয়ার্কিং কমিটির অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। কংগ্রেস সব ধরণের সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী। সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতায় কোনও বাছবিচার করা উচিত নয়। পালটা অধীর জানিয়েছেন, আনন্দ শর্মা পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল নন।