পুরুলিয়ার জনসভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী শক্তিকে সমর্থনের অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাওবাদী থেকে ইসলামি চরমপন্থী জঙ্গিদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সঙ্গে তুললেন তোষণের অভিযোগও।
এদিন মোদী বলেন, ‘নিজেদের লাভের জন্য মাওবাদীদের মদত দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যার ফল ভুগতে হয় এখানকার সাধারণ মানুষকে’।
পুলওয়ামা হামলা নিয়ে মোদী বলেন, ‘দেশের সেনার বিরুদ্ধে আপনি অভ্যুত্থানের চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন। পুলওয়ামা হামলার সময় আপনি কাদের সঙ্গে ছিলেন তাও দেশের মানুষ ভোলেনি’।
বটলাহাউজ এনকাউন্টার নিয়ে মমতা আক্রমণ করে মোদীর দাবি, ‘কয়েকদিন আগে দিল্লির একটি আদালত বটলা হাউজ এনকাউন্টর নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এই রায় ভারতে সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পিছনে যে আসল চেহারাগুলো রয়েছে তাদের প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। এই এনকাউন্টারে এক জঙ্গির ছোড়া গুলিতে দেশের সাহসী সন্তান ইন্সপেক্টর মোহন চন্দ্র শর্মা শহিদ হয়েছিলেন। আদালত সেই জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। কিন্তু মমতা দিদি ও ওনার পার্টির সেই সময়ের আচরণ কেউ ভোলেনি। ওরা তখন সন্ত্রাসবাদীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। তুষ্টিকরণের জন্য এরা কোন পর্যন্ত যেতে পারে এটা তার সব থেকে বড় উদাহরণ।’
এদিন মোদী দাবি করেন, জঙ্গলমহলের যুবকদের অধিকার কেড়ে নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের তোষণ করছেন মমতা।