নীল রঙের জিন্সের প্যান্ট। সেই প্যান্টের কোমরে দেখা যাচ্ছে পিস্তলের বাঁট। জামা তুলতেই উঁকি দিচ্ছে পিস্তলের একাংশ। ভোট বাংলায় এই ছবিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে এই ছবি ডোমকলের একটি গ্রামের। তবে এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। অভিযোগ বাংলার শেষ দফার ভোটে বৃহস্পতিবার হাড়হিম করা সন্ত্রাসের মুখোমুখি হয় মুর্শিদাবাদের ডোমকল। অভিযোগ এই ধরণের পিস্তল দেখিয়েই এদিন ভয় দেখানো হয় ভোটারদের। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ফাঁকা জমিতে বোমাবাজি করেও ভোটারদের মধ্যে ভয় ধরানোর চেষ্টা করা হয় এদিন। বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়ায় বলেও অভিযোগ। ফাঁকা জমির উপর দিয়ে দুষ্কৃতীদের ছুটে বেড়ানোর ছবি আতঙ্ক ধরিয়েছে অনেকের বুকে।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ডোমকলের আলিনগরের একটি বুথ থেকে কিছুটা দূরে একাধিক সকেট বোমা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জঙ্গলের মধ্যে বোমাগুলিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালায়। এরপরই পুলিশ সকেট বোমাগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। কিছু বারুদও পাওয়া গিয়েছে এলাকায়। গোটা এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে কারা এই বোমাগুলিকে লুকিয়ে রেখেছিল? এনিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের মতে , সুতুলি বোমার তুলনায় সকেট বোমা অনেকটাই শক্তিশালী। এরা মূলত ভাড়া করা দুষ্কৃতী। ভোটের সময় রাজনৈতিক দলগুলি এদের ভাড়া করে। যখন যেমন প্রয়োজন সেরকম বোমা বারুদের যোগান এরা দেয়। মূলত এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরির জন্য় এই কাজ করা হয়।