শনিবার দিল্লিতে উড়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিজেপি নেতা হিসেবে তাঁর প্রথম সভা ছিল হাওড়ার ডুমুরজলায়। সেই সভা থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বললেন, ‘তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের যা উন্মাদনা দেখছি, তাতে রাজ্যে পদ্ম ফুটবেই।’
রাজীব এদিন রাজ্যে ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’–এর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার চাই আমরা। কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই সরকার চাই। বাংলার যদি উন্নয়ন করতে হয় তবে স্পেশ্যাল প্যাকেজ চাই। আমি সেই দাবি জানিয়ে এসেছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।’ তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে রাজীব বলেন, ‘এই সরকার বেকার যুবক–যুবতীদের কোনও দিশা দেখাতে পারেনি। কাজের খোঁজে তাঁদের ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে। শিল্প নেই, সব শ্মশানে পরিণত হয়েছে। আমি অমিত শাহজিকে বলে এসেছি, আগামীদিনে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বড় বড় শিল্প নিয়ে আসবেন তিনি।’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাজীব বলেন, ‘যখন ওই দলে কেউ যোগদান করে তখন বলে উন্নয়নের স্বার্থে যোগদান করেছে আর যখন ওই দল থেকে উন্নয়নের স্বার্থেই অন্য দলে চলে যায় তখন তাঁকে গদ্দার বলা হয়। এটা কোন ধরনের বিচার?’ নতুন দলে যোগ দানকারী বালির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ‘শুধু ২৯৪টি বিধানসভায় নয়, দরকার হলে পাড়ায় পাড়ায়, বুথে বুথে, গ্রামে গ্রামে আমরা যাব। বাংলায় অমিত শাহ যে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন সেই টার্গেটে আমরা পৌঁছব।’
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘যদি আপনি ওই রাজনৈতিক দল না করেন সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে কেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটের জন্যই ব্যবহার করে গেছে।’ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এদিন সুর চড়ান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। রাজ্য সরকারের এই স্বাস্থ্যবিমাকে ভাঁওতাবাজি বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের মুখে ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ করায় এটা প্রমাণ হয়ে গেল যে এতদিন কিছুই কাজ হয়নি। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রথম দিন থেকে দুয়ারে দুয়ারে পাড়ায় পাড়ায় যাবে সরকার।’