ভরসন্ধেয় কান্দির আন্দুলিয়া পঞ্চায়েতের সামনে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মী

বিজেপি–র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি– দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রতীকী ছবি

ভোটের মুখে ফের রাজনৈতিক হিংসা নতুন করে ছড়াচ্ছে রাজ্যে?‌ রবিবার মুর্শিদাবাদের কান্দির এক ঘটনায় ফের উঠছে এই প্রশ্ন। এদিন ভরসন্ধেয় কান্দির আন্দুলিয়া অঞ্চলের সন্তোষপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তৃণমূলকর্মী বরুণ ঘোষ। সে সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আপাতত তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন সন্ধেয় বাড়ি ফিরের পথে আন্দুলিয়া পঞ্চায়েত অফিসের সামনে আচমকা হামলা চালানো হয় বরুণের ওপর। তাঁর বুকে গুলি লেগেছে। গুলির শব্দে স্থানীয়রা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যান কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থা দ্রুত অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

আক্রান্তের পরিবার জানিয়েছে, এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে টাকা–পয়সা নিয়ে গন্ডগোল চলছিল বরুণের। ইদানিং সেই ঝামেলা আরও বাড়ে। তার জেরেই হয়তো এই হামলা। যদিও ঘটনাকে ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি–র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি– দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে।

ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রাজনৈতিক শক্রতা? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে কান্দি থানার পুলিশ। কারা হামলা চালানো জানতে ইতিমধ্যে স্থানীয় লোকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।