চৌরঙ্গী থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছিল প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রকে। কিন্তু শিখা মিত্র তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিখা মিত্রকে ফোন করলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। দু'জনের মধ্যে ১৫ মিনিট কথা হয়। তবে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। বিজেপির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর সোনিয়ার ফোন রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
কিছুদিন আগেই সোমেন মিত্রর বাড়িতে গিয়ে শিখা মিত্র ও সোমেন-পুত্র রোহনের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাক্ষাতের পর সোমেন পুত্রের গলায় প্রদেশ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বেসুরো শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এরপরেও অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেননি শিখা বা রোহন কেউই। সোনিয়ার সঙ্গে ফোনালাপের পর রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে, তবে কী সোমেন মিত্রের পরিবারের কাউকে এবারে প্রার্খী করতে পারে কংগ্রেস?
কলকাতায় যে চারটি কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়ার কথা, সেগুলি হল - কলকাতা বন্দর, রাসবিহারী, ভবানীপুর ও চৌরঙ্গী। যেহেতু চৌরঙ্গী আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি, তাই আরও বেশি করে রাজনৈতিক মহল অপেক্ষা করে আছে জানতে যে ওই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী কে হবেন। রাজ্যের এক কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, দু'একদিনের মধ্যে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে। তবে বিজেপি কংগ্রেসকে ভাঙার চেষ্টা করছে, তার নিন্দা করা হচ্ছে। ভাড়াটে লোক নিয়ে কংগ্রেসকে ভাঙা যাবে না্। তৃণমূলের চোরগুলিকে বিজেপি নিয়েছে। কিন্তু এভাবে রাজ্য দখল করতে পারবে না বিজেপি।