এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী সৌমেন কুমার মহাপাত্র ৪৫.৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হরেকৃষ্ণ বেরা পেয়েছেন ৪৫.৫২ শতাংশ ভোট।
বরাবরই সিপিআইয়ের গড় বলে পরিচিত রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক। তবে সেই রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের তৃণমূলের প্রার্থী হলেন সৌমেনকুমার মহাপাত্র। এই আসনে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী হরেকৃষ্ণ বেরা। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআই প্রার্থী গৌতম পণ্ডা।
মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার উত্তরে হাওড়া জেলা রয়েছে। পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। আরও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা অবস্থিত। তমলুক এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সিপিআই প্রার্থী অশোক দিন্দা জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৫,৪৩২৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী নির্বেদ রায়৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৯৪,৯১২৷ সিপিএম প্রার্থী অশোক দিন্দা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী নির্বেদ রায়কে ৫২০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইয়ের জগন্নাথ মিত্র তমলুক কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের চিত্তরঞ্জন মাইতিকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বেদ রায় সিপিআইয়ের সন্তোষ রানাকে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের অনিল মুদি সিপিআইয়ের সুরজিৎ বাগচিকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮৭ সালে সিপিআইয়ের সুরজিৎ বাগচি অনিলকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৮২ সালে আইসিএসের সুকুমার দাস ও ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের সুকুমার দাসকে তমলুক আসনে হারিয়ে দিয়েছিলেন সিপিআইয়ের বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্বকারী অজয় মুখোপাধ্যায় তমলুক থেকে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালে বাংলা কংগ্রেসের অজয় মুখোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৯৫৭ ও ১৯৬২ সালে ভারতের প্রথম নির্বাচনেও কংগ্রেসের তমলুক আসনে জিতেছিলেন অজয়ই।