ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে খাবারে বৈষম্যের অভিযোগ উঠল। আর তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ কোথাও জুটছে প্রাতঃরাশ–সহ ভরপেট মধ্যাহ্নভোজ, আবার কোথাও কেক–বিস্কুট–কলা দিয়ে আধপেটা থাকতে হচ্ছে। এই বৈষম্যের অভিযোগ উঠে এল ভোটকর্মীদের কাছ থেকে। তাঁদের নির্দিষ্ট প্রশ্ন–সহ অভিযোগ, প্রশিক্ষণের সময় সরকার মাথা পিছু ১৭০ টাকা করে বরাদ্দ করেছে। সেখানে কেক–কলা–বিস্কুট খাওয়ালে বাকি টাকা কী হচ্ছে? আধপেটা খেয়ে কাজ করা যায় নাকি?
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এই বৈষম্যের বিতর্ক নিয়ে আলিপুরদুয়ারে বিক্ষোভে নামেন ভোটকর্মীরা। আলিপুরদুয়ারের এক বিদ্যালয়ে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। সেখানে দু’দিন ধরে তাঁদের ৪০ টাকার খাবার দেওয়া হয়েছে। খাবার বলতে ছিল— চকোলেট, ফ্রুটি, লাড্ডু, বিস্কুট। বাকি ১৩০ টাকার হিসেব মিলছে না। এই খাবারে বৈষম্য এবং আধপেটা খাবার জোটা নিয়ে এক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা জানান, বাকি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভোটকর্মীদের অ্যাকাউন্টে।
১৭০ টাকার টিফিনের বদলে ১৮ টাকার টিফিন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে নামেন ভোটকর্মীরা। আবার নদিয়া, বর্ধমান, গাজোলের স্কুলগুলিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভোটকর্মীদের খাবার নিয়ে কোনও সমস্যাই হয়নি। সেখানে সকালের খাবার ও মধ্যাহ্নভোজ দুটোই পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। আর দক্ষিণ কলকাতায় তো চা–বিস্কুট ছাড়াও বিরিয়ানি, ফ্রায়েড রাইসের ভুরিভোজ। এবার কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্র এবং বুথের সংখ্যা বেড়েছে। সুতরাং বেড়েছে ভোটকর্মীও। সুতরাং এই খাদ্য বৈষম্য নিয়ে এখন কপালে ভাঁজ পড়েছে আধিকারিকদের।