তৃতীয় দফার নির্বাচনের দিনই বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতার আটজন রিটার্নিং অফিসারকে। মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানাল নির্বাচন কমিশন। এরপরই সবকটি কেন্দ্রেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে নয়া রির্টানিং অফিসারের নামও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং চতুর্থ দফার নির্বাচন আরও কড়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রতিটি দফাতেই নির্বাচন কমিশন নয়া নয়া চমক দেখাবে। এখনও পাঁচ দফা নির্বাচন বাকি। তাই এই পাঁচ দফায় নয়া নয়া চমক থাকছে। যা দেখবে বাংলা।
নির্বাচন কমিশনের মতে, পরপর তিন বছর কেউ একই পদে থাকতে পারেন না। তাই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু এতদিন কলকাতার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কার্যকর করা হয়নি। এবার সেই বিধি মেনেই কার্যকর করা হল। আর তাই সরানো হয়েছে ওই আট রিটার্নিং অফিসারকে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সময়ে ওই আট আধিকারিকের উপর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের কাছে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অভিযোগও জমা পড়েছিল।
এদিকে সপ্তম ও অষ্টম দফায় ভোট নেওয়া হবে কলকাতার ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে। সপ্তম দফায় ভোট রয়েছে কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী এবং বালিগঞ্জে। আর অষ্টম তথা শেষ দফায় চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা, কাশীপুর–বেলগাছিয়ায়। আর রিটার্নিং অফিসার সরানো হল—কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, এন্টালি, বেলেঘাটা, শ্যামপুকুর, কাশীপুর বেলগাছিয়া, জোড়াসাঁকো ও চৌরঙ্গি। সূত্রের খবর, এই সব কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করল কমিশন।
অন্যদিকে কলকাতা বন্দর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তবে তাঁর এলাকার রিটানিং অফিসারকেও অপসারিত করা হয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, ভোট ঘোষণার পর থেকেই একাধিক ক্ষেত্রে এই ধরনের বদল এনেছে নির্বাচন কমিশন। এমনকী বদলানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলাকেও। প্রথম দফায় নির্বাচনের আগে মহিলা অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সাধারণ পর্যবেক্ষক নারায়ণ প্রসাদ পাণ্ডেকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন।