আগামী বুধবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সোমবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিলেন তিনি। তবে তা গ্রহণ করে আগামীর জন্য শুভেচ্ছা জানান জগদীপ ধনখড়। বিপুল ভোটে জিতে বাংলার ক্ষমতা থাকছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হাতে। বিজেপিকে রুখে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ে স্বস্তি মিললেও জয়ের মুকুটে কাঁটা নন্দীগ্রামের ফলাফল। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, নন্দীগ্রামে পরাজয় সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কি ফের শপথ নিতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
আজ সন্ধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানে সময় কাটান তিনি। রীতি মেনে পদত্যাগ করেন। তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল। এমনকী অন্তর্বর্তী সময়ে তাঁকেই দায়িত্বভার সামলানোর অনুরোধ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি টুইট করেছেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তৃতীয়বারের জন্য মানুষকে সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আশা করছি, রাজ্যের অতীত গৌরব পুনরুদ্ধার করবেন তিনি।’ উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত না হয়েও যে কোনও ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমনকী প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত হতে পারবেন। তবে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচিত হতে হবে। তাই এই নিয়মে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথের ছয় মাসের মধ্যে ফের ভোটে লড়ে নির্বাচিত হতে হবে মমতাকে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতির জন্য অতিথির সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ২০১১ সালে যখন বাংলায় পরিবর্তন ঘটে, তখন বিধায়ক ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক পদ ছাড়াই বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। পরে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন তিনি। সম্প্রতি বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত না হয়েই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিরথ সিং রাওয়াত।