নিজের সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণী অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি হিসাবে দেশজুড়ে ধন্য ধন্য চলছে তাঁর। তার পরও রাজনৈতিক পরামর্শদাতার পেশা ত্যাগের কথা ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু কী করে পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন নিয়ে এত নিখুঁত পূর্বাভাস দিলেন তিনি? বাজিমাত করার পরে সংবাদমাধ্যমকে সেকথা জানালেন তৃণমূলের ভোট কৌশলী।
এদিন প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেন, ভোটকৌশলী হিসাবে তিনি আর কাজ করবেন না। কাউকে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে পরামর্শ দেবেন না কোনওদিন। বদলে অন্য কোনও পেশায় যাবেন তিনি। তবে সেই পেশা কী তা জানাননি প্রশান্ত কিশোর।
কিন্তু কেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের পক্ষে এই বিপুল সমর্থন আগাম আঁচ করা গেল না? প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভুলগুলো করেছিলেন তা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে সংশোধন করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেটা সংবাদমাধ্যম বা বিরোধীরা বুঝতে পারেনি। এই সময় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মাধ্যমে ৪৫ লক্ষ মানুষের অভিযোগ শুনেছে তৃণমূল। ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’-এর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার ব্যাপক প্রচার করেনি কেউ।
সঙ্গে তিনি বলেন, এই সময়ে তৃণমূলের কিছু ‘পঁচা ডিম’ দল ছেড়েছে। আর বিজেপি সেই আবর্জনাগুলোকে কুড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যম তাকে তৃণমূলে ভাঙন বলে প্রচার করেছে। আসলে ‘আবর্জনা’ কুড়িয়েছে বিজেপি।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হারের পর প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা IPAC-কে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করে তৃণমূল। এর পর দল ও সরকারের একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করে সংস্থাটি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে তৃণমূলের জয়ে এই সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।