নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় শেষ হচ্ছে না বিজেপির মিশন বাংলা। বরং এবার বীরভূমকে টার্গেট করতে চলেছে বিজেপি। সেজন্য আগামী কয়েকদিনে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানিরা। বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় রথযাত্রায় সামিল হওয়ার পাশাপাশি জনসভা করবেন তাঁরা
শনিবার নবদ্বীপ থেকে রথযাত্রার সূচনা করেছেন নড্ডা। পরদিনই হলদিয়ায় নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন মোদী। তারইমধ্যে আগামী কয়েকদিন বাংলায় আসতে চলেছেন অমিত শাহ-সহ একাধিক একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা। আগামিকাল (মঙ্গলবার) তারাপীঠ এবং ঝাড়গ্রাম থেকে আরও দুটি রথের দড়িতে টান দেবেন নড্ডা।
বিজেপি সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারাপীঠে পুজো দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তারাপীঠ সংলগ্ন এলাকায় সভাও করবেন। আপাতত রথের যে রুট ঠিক হয়েছে, সেই অনুযায়ী আগামিকাল রামপুরহাট নলহাটি পর্যন্ত সেই রথ যাবে। পরদিন লাভপুর, পাড়ুই হয়ে সিউড়িতে পৌঁছাবে রথ। সেখানে রাত কাটিয়ে পরদিন দুবরাজপুর, ইলামবাজারের মতো এলাকা দিয়ে বোলপুরে রথ পৌঁছে যাবে। রথযাত্রার মধ্যে প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় বিজেপির একজন কেন্দ্রীয় বা রাজ্যস্তরের নেতা হাজির থাকবেন।
সূত্রের খবর, সেইমতো আগামী বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মল্লারপুরে আসছেন রাজনাথ। সেখানে সভা করবেন তিনি। সেদিনই সাঁইথিয়ায় সভা করবেন রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুবরাজপুরে সভা করবেন স্মৃতি ইরানি। তবে সেই তালিকায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নাম হতে চলেছে যোগী। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নানুরে আসবেন তিনি। কীর্ণাহারের মাঠে সভা করবেন।
যোগীর আগমন নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা জানান, যোগীর আগমনের ফলে মনে ‘জোর’ পাবেন মানুষ। যদিও তিন-চারদিনের মধ্যে যোগী বা রাজনাথরা আসায় বিষয়টিতে পাত্তা দিতে একেবারেই রাজি নয় তৃণমূল। বরং ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, যোগীরা আদতে 'ভোটপাখি'। ভোটের সময় আসেন। তারপর উড়ে যান। সারা বছর থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।