গত বছর অগস্টে টুইটারে দুনিয়ায় সরাসরি পা রাখবার পর থেকে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন কঙ্গনা। বলিউডের নেপোটিজম থেকে সুশান্তের মৃত্যু, কখনও মহারাষ্ট্র সরকারকে আক্রমণ তো কখনও কৃষিবিল বিরোধীদের সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া- নানান বিতর্কিত মন্তব্য করে চর্চায় থেকেছেন কঙ্গনা। কঙ্গনার বিরুদ্ধে টুইটারে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে, টুইটার কর্তৃপক্ষও কঙ্গনার অ্যাকাউন্টে সমায়িক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে- কিন্তু তাতেও থামেননি অভিনেত্রী। নিয়মলঙ্খনের জেরে দিন কয়েক আগেই টুইটার কর্তৃপক্ষ কঙ্গনার দুটি টুইট মুছে দেয়। অন্যদিকে অভিনেত্রীর দিদি তথা ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেলের অ্যাকাউন্ট হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ বাতিল করে দেওয়া হয় মাস খানেক আগেই।
বুধবার কঙ্গনা রানাওয়াত টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিকে ট্যাগ করে মাইক্রোব্লগিং সাইটের একটি বিবৃতির জবাব দিলেন। বিবৃতিতে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানায়, শয়ে শয়ে অ্যাকাউন্ট যেগুলি টুইটারের নীতি ভঙ্গ করেছে সেগুলিকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকারের নির্দেশে বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সাংবাদিক ও মিডিয়া সংস্থার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার যে দাবি করেছিল সরকার, সেটা টুইটার মান্য করেনি বলে জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কঙ্গনা লেখেন, ‘তোমাদের চিফ জাস্টিস কে বানিয়েছে? কখনও কখনও তো তোমরাই দল বেঁধে মানুষকে বুলি কর। ঠিক যেন সংসদের অনির্বাচিত সদস্য। তোমরা তো দেশের প্রধানমন্ত্রী সাজারও চেষ্টা করো। কে তোমরা শুনি? এক দল নেশারু তোমরা! আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করো?’
এরপর কঙ্গনা অপর এক টুইটে লেখেন, এবার সময় এসেছে কু-অ্যাপে শিফট করবার। শীঘ্রই সকলকে জানিয়ে দেব আমার অ্যাকাউন্ট ডিলেটস। ভীষণরকমভাবে এক্সাইটেড ঘরে তৈরি অ্যাপ ব্যবহার করবার জন্য'।
এর আগেও কঙ্গনা টুইটারকে ‘চিনের পুতুল’ বলে কটাক্ষ করেছেন, যদিও এই মার্কিন অ্যাপটি চিনে নিষিদ্ধ। কঙ্গনার টুইটার ছেড়ে যাওয়ার হুমকি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বেজায় খুশি, এককথায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচবার কথা বলছেন। অনেকে লেখেন, ‘আর টুইটার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াবে না’। অপর একজন লেখেন, ‘অবশেষে ধন্যবাদ, প্লিজ জানাও কবে ছেড়ে যাচ্ছ’। অনেকে আবার কঙ্গনার সাপোর্টে লেখেন, ‘আমাদেরও এবার কু-অ্যাপে যেতে হবে’।