ছোট থেকেই বিতর্ক ছিল নিত্যসঙ্গী, একরাশ বিতর্ক উস্কে চলে গেলেন ইন্টারনেট সেনসেশন লিল টে। বুধবার রাতে আচমকাই প্রকাশ্যে এই কানাডীয় ব়্যাপার ও সমাজ মাধ্যম প্রভাবীর মৃত্যু সংবাদ। যদিও লিল টে-র মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। ১৪ বছর বয়সী এই গায়িকার ভ্যারিফায়েড ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা হয় তাঁর মৃত্যুর খবর। একই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর ভাইয়ের সে কথাও জানানো হয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় প্রয়াত লিল টে-র বাবা ক্রিস্টেফার হোপ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
ইনসাইডারকে লিল টে-র বাবা তথা প্রাক্তন ম্যানেজার জানান, তিনি এই ধরণের কোনও সংবাদ নিশ্চিত করতে পারবেন না। ব়্যাপারের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে লেখা হয়- ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় ক্লাইরে আমাদের ছেড়ে হঠাৎ করে চলে গিয়েছে, এই মৃত্যু মর্মান্তিক। আমরা কেউ এটা আশা করিনি, আমরা শোকস্তব্ধ। ওঁর ভায়ের মৃত্যু আমাদের এই শোককে আরও অভাবনীয়রকমের গভীর করে তুলেছে’।
একইসঙ্গে জানানো হয়, চরম দুঃখের এই ঘটনায় পরিবারকে শোকজ্ঞাপনের জন্য যেন খানিক সময় দেওয়া হয়, গোপনীয়তা বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে সেই পোস্টে। পাশাপাশি বলা হয়, লিল টে ও তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা এই মুহূর্তে তদন্ত সাপেক্ষ তাই মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
সেই পোস্টে উল্লেখ নেই লিল টে-র মৃত ভাইয়ের নাম। তবে জল্পনা দুর্ঘটনায় লিল টে-র পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে তাঁর সৎ ভাই জেসন টিয়ানের। লিল টে-র মা অ্যাঞ্জেলার ছেলে জেসন। লিলের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলটি নাকি সেই দেখাশোনা করত। এমনকি লিলকে ইউটিউবার তথা সোশ্যাল মিডিয়াস্টার তৈরি করবার পিছনে জেসনের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
এই সংবেদনশীল সংবাদ নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেন লিল টে-র অপর প্রাক্তন ম্যানেজার হ্যারি টিস্যাং। অন্যদিকে লস অ্যাঞ্জেলসের পুলিশ দফতরের কাছে ক্লাইরে হোপ নামের কোনও কিশোরীর মৃত্যুর খবর নেই। বা এই সংক্রান্ত কোনও তদন্ত চালাচ্ছে না তাঁরা। ইনসাইডারকে ভ্যাঙ্কুভার পুলিশও একই কথা জানিয়েছে। ভ্যাঙ্কুভারে জন্ম লিলের, তবে নিজের কেরিয়ার গড়তে লস অ্যাঞ্জেলসে থাকতেন তিনি। ২০১৭ সালে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মাত্র ৯ বছর বয়সী লিল। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ভিডিয়োয় দেখিয়ে বিতর্কে জড়ায় খুদে। পরবর্তীতে বেশ কয়েক বছর ইন্টারনেট থেকে গায়েব ছিল সে। পরবর্তীতে লিলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর বাবার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। যা অস্বীকার করেন ক্রিস্টেফার হোপ। তিনি পালটা অভিযোগের আঙুল তোলেন লিলের সৎ ভাই জেসন টিয়ানের দিকে। পারাবারিক ঝামেলার জেরে হামেশাই চর্চায় থাকতেন, তার মাঝেই এল এমন হাড়হিম করা খবর। যদিও এই টিনএজ ব়্যাপারের সত্যিই মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।