স্যান্ডো গেঞ্জি আর শর্টস পরে বিয়ে করলেও, পাপারাৎজির সামনে পোজ দিতে সেজেগুজেই হাজির হলেন ইরা এবং নূপুর। সঙ্গে ছিলেন ইরার সুপারস্টার বাবা আমির খান। সেসময় আমিরের জামাই নূপুর পরেছিলেন ডিজাইনার ধুতি-পাঞ্জাবি, আর মেয়ে ইরার পরনে ছিল ফিরোজা রঙের এমব্রয়ডারি করা মখমলের ব্লাউজ, গর্জাস হারেম প্য়ান্ট আর নেটের ওড়না। তথাকথিত বরকনের পোশাক ছেড়ে নিজেদের বিয়েতে ফ্যাশানের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছেন ইরা ও নূপুর।
সেতো না হয় হল, এদিকে ইরা ও নূপুরকে নিয়ে যখন তাঁদের গোটা পরিবার পাপারাৎজির ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছেন, তখন একী করে বসলেন আমির! মেয়ে, জামাই, মেয়ের শাশুড়িমা ও দুই ছেলের সামনেই প্রাক্তন কিরণের ঠোঁটে ঠোঁট ডোবালেন সুপারস্টার। আমিরের ছেলে জুনেইদ তখন বাবা আর সৎ মায়ের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। আর আমিরের এই কাণ্ড দেখে নেটনাগরিকদের প্রশ্ন, ‘মুখে না বললেও সত্যিই কি অস্বস্তিতে পড়েননি আমিরের ছেলে?’ এদিকে ঠিক এরপরেই আমির চলে গেলেন প্রাক্তন প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তের পাশে। রিনার পাশে দাঁড়িয়েই ছবি তুললেন অভিনেতা।
আরও পড়ন-সেজেগুজে হাজির আমির ও অতিথিরা, গেঞ্জি আর শর্টস পরেই বিয়ে নূপুরের
আরও পড়ুন-একী হাল বর-কনের! বিয়ের দিন দৌড়াতে বের হলেন আমিরের জামাই, ইরা ঘুরছেন টি-শার্ট পরে
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো উঠে আসতেই নেটপাড়ায় কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে।আমির ও তাঁর পরিবারকে ট্রোল করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা। কেউ লিখেছেন, ‘পুরো পরিবারেরই দেখছি মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলেছে!’, কেউ লিখেছেন, ‘আমিরের পুরো পরিবারই নকল!’ কারোর কথায়, ‘আমির তো দেখছি পুরোটাই ভুয়ো, ডিভোর্স দেওয়ার পরও এইসব!’ কারোর প্রশ্ন, ‘প্রথম স্ত্রীর সামনেই দ্বিতীয় স্ত্রীকে চুমু!’ কারোর কটাক্ষ, ‘এরা সত্যিই স্বাভাবিক তো?’
এদিকে এদিন ইরা ও নূপুরের মূল বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে সই-সাবুদ করে, আলাদা করে কোনও রীতি মেনে নয়। এদিন মুম্বইয়ের রাস্তায় ৮ কিলোমিটার দৌড়ে বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছোন নূপুর। মণ্ডপের বাইরে ঢোল কাঁধে নিয়ে বাজাতেও দেখা যায় তাঁকে। এরপর মণ্ডপে ঢুকেই শ্বশুরমশাই আমিরকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। আর তারপর শুরু হয় আইনি বিয়ে।
ইরা এবং নূপুর সই করে বিয়ে করতেই উপস্থিত সকল অতিথিরা চিৎকারে ফেটে পড়েন। সকলকেই ফোনে এই বিশেষ মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করতে দেখা যায়। গোটা মঞ্চ এবং বিয়ে বাড়িটিকে সাদা ফুল এবং আলোর মালায় সাজানো হয়েছিল।