কথা রাখলেন অভিনেতা রণদীপ হুডা। সর্বজিৎ সিং-এর দিদি দলবীর কৌরকে দেওয়া প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে সব কাজ ফেলে মুম্বই থেকে চণ্ডীগড় ছুটে গেলেন অভিনেতা। দলবীর কৌরের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া পালন করলেন রণদীপ হুডা। রিয়েল-রিল যেন মিলে মিশে একাকার। রুপোলি পর্দায় সর্বজিৎ-এর চরিত্রে অভিনয় করা রণদীপ হুডার মন্ত্রপুত অগ্নিতে পরপারের উদ্দেশ্য যাত্রা করলেন দলবীর কৌর।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সর্বজিৎ’ ছবিতে দলবীর কৌরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে। পাকিস্তানের জেলে বন্দি ভাইয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে সন্ত্রাসবাদী তকমা, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সর্বজিৎ-কে ফাঁসির সাজা দিয়েছে পাক আদালত। তবে দমে যাননি দলবীর। ভাইয়ের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
পরিচালক ওমাঙ্গ কুমারের ছবির প্রি-প্রোডাকশনের সময় থেকেই দলবীর কৌরের সঙ্গে এক স্নেহের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল পর্দার সর্বজিৎ রণদীপ হুডার। অভিনেতার মধ্যে নিজের ভাইকে খুঁজে পেয়েছিলেন দলবীর। অনুরোধ করেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর রণদীপ যেন অতিঅবশ্যই দলবীরকে কাঁধ দেন, সম্পন্ন করেন শেষকৃত্য।
সেই কথামতোই দলবীর কৌরের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ামাত্র মুম্বই থেকে অমৃতসরের ভিওয়ান্ডিতে ছুটে যান রণদীপ। শনিবার ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দলবীর কৌরের। সব রীতি মেনে রবিবার দলবীর কৌরের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন রণদীপ।
ওমাঙ্গ কুমার পরিচালিত ‘সর্বজিৎ’ ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল। লাহোরের জেরে সর্বজিতের মৃত্যুর তিন বছর পর মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। ১৯৯১ সালে গুপ্তচর তকমা দিয়ে ভারতীয় নাগরিক সর্বজিৎ-কে গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ড পাক আদালত। সর্বজিতের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়েও লড়াই করে ভারত সরকার। ২০০৮ সালে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বজিতের প্রাণদণ্ড মুলতুবি রাখে পাক সরকার। তবে ২০১৩ সালে জেলেবন্দি থাকা অবস্থাতেই অপর জেলবন্দির আক্রমণে মৃত্যু হয় সর্বজিতের।