‘রং দে বসন্তী’, ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিনেতা শরমন জোশী। ‘কংগ্র্যাচুলেশন’ ছবি দিয়ে গুজরাটি ছবির দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশের জন্য প্রস্তুত তিনি। ছবিতে একজন গর্ভবতী পুরুষ হিসাবে দেখানো হয়েছে অভিনেতাকে।
সম্প্রতি নতুন ছবি নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আড্ডায় ধরা দিয়েছেন শরমন। সিনেমায় কর্মজীবনের কিছু মাইলফলক, ছোটবেলার বেশ কিছু স্মৃতি ভাগ করেছেন। একজন গর্ভবতী পুরুষের চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার একজন গর্ভবতী পুরুষের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন (১৯৯৪ সালের জুনিয়র ছবিতে)। অঙ্কুশ চৌধুরীও একজন গর্ভবতী পুরুষের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন (২০০৬ সালে মারাঠি ছবি ইশ্যা-য়), যদিও ছবিগুলি গল্পগুলি আমি জানি না।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, রিতেশ দেশমুখ (মিস্টার মাম্মি) এবং অঙ্কুশের ছবি আমি দেখিনি। কিন্তু এই ছবি (কংগ্র্যাচুলেশন) যা রেহান (লেখক ও পরিচালক রেহান চৌধুরী) লিখেছেন এবং আমি এটিতে কাজ করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম। আমরা খুব তাড়াতাড়ি এগিয়েছিলাম।’ আরও পড়ুন: গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত যুক্তরাজ্যের ২১ বছরের সুপার মডেল, ভেঙেছে শরীরের একাধিক হাড়
তিনি আরও বলেন, ছবিটিতে কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণাও দেখানো হয়েছে। অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘সম্পূর্ণ গর্ভাবস্থার উপর তৈরি এই ছবি। গর্ভাবস্থায় চ্যালেঞ্জগুলির উপর ফোকাস করেছে। কংগ্র্যাচুলেশন একটি আবেগঘরানার কমেডিতে ভরপুর ছবি। কিছু বৈজ্ঞানিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তবে এটি এখনও কল্পকাহিনীর উপর কাজ, যা খুব শীঘ্রই বাস্তব হতে পারে’।
শরমনের প্রযোজনায় ‘কংগ্র্যাচুলেশন’ আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে। এমনটা নয়, এই ছবিতে প্রথমবার গুজরাটি ভাষায় অভিনয় করেছেন শরমন। তিনি এর আগে গুজরাটি থিয়েটারে কাজ করেছেন- তবে এই ভাষায় এটি তাঁর প্রথম ছবি।
এই ছবিতে কাজ করার সেরা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শরমন জানিয়েছেন, ‘এটিতে কাজ করার সবথেকে ভালো অভিজ্ঞতা আমাকে ওজন বাড়াতে হয়েছিল। আমাকে অন্তঃসত্ত্বা দেখাতে হবে নিজেকে। তাই ওজন বাড়ানোটা জরুরি ছিল। মাত্র দু’মাসে যে ওজনটা বাড়াতে হয়েছিল, তা বিব্রতকর ছিল। ছবির জন্য জরুরি ছিল, তাই করতে হয়েছিল। তাড়াতাড়ি আমার স্বাভাবিক ওজনে ফিরে এসেছিলাম। শ্যুটিংয়ের শেষের দিকে আবার রোগা হতে শুরু করি'।