ইরফান খানের মৃত্যুর খবরটা এখনও মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ইরফানের অভিনয় প্রতিভা মুগ্ধ করেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বলিউড সহ বিশ্ব চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন এই প্রতিভাশালী অভিনেতা। সালাম বম্বে দিয়ে ১৯৮৮ সালে রূপোলি সফর শুরু হয় ইরফানের, সেই যাত্রা পূর্ন হল আংরেজি মিডিয়ামে। অনেক কাজ বাকি থাকল, অনেক ছবি মাঝপথে পড়ে রইল-না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইরফান খান।
এদিন ইরফানের স্মৃতিচারণায় আবেগতাড়িত তাঁর 'বিল্লু' কো-স্টার তথা ছবির প্রযোজক শাহরুখ খান। টুইটারে ইরফানের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতার একটি ছবি পোস্ট করে বাদশা লেখেন, ' আমার বন্ধু...অনুপ্রেরণা,আমাদের প্রজন্মের সেরা অভিনেতা ইরফান খান। আল্লাহ তোমার আত্মার শান্তি দিক ইরফান ভাই.. তোমাকে ততটাই মিস করব, যতটা এটা ভেবে গর্বিত হব যে তুমি আমাদের জীবনের অংশ থেকেছো'। উর্দুতে তিনি লেখেন-'পয়মানা কাহে হ্যায় কই ময়কানা কহে হ্যায়..দুনিয়া তেরি আঁখো কো ভি ক্যায়া ক্যায়া না কহে হ্যায়'।
প্রসঙ্গত ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিল্লু।
ইরফান খানকে এদিন স্মরণ করে নেন ভাইজান সলমন খানও। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন-'সিনেমা জগত, ওঁনার ভক্ত আর বিশেষ করে ওঁর পরিবারের কাছে এটা একটা বিশাল বড় ক্ষতি। ঈশ্বর ওঁদের শক্তি দিক। ইরফানের আত্মার শান্তি কামনা করি। আপনাকে সব সময় মনে রাখবো ভাই। আমাদের হৃদয়ে তুমি আজীবন থাকবে'।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইরফান খানের নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। সেই সময়ও সবার প্রার্থনায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসেন ইরফান। এবার তেমনটা হবে, আশা ছিল কিন্তু না তেমনটা আর হল না। আসলে মায়ের মৃত্যুর ধাক্কাটা বোধহয় সামলাতে পারলেন না ইরফান।
বলিউডের খানদানের অপর খান আমির লেখেন, 'খুব খারাপ একটা খবর, ইরফান আমাদের সহ অভিনেতা এবং অসাধারণ প্রতিভাবান একজন অভিনেতা আমাদের মধ্যে আর নেই। খুব দুঃখের। ওঁনার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা রইল। ইরফান আমাদের যে আনন্দ দিয়ে গিয়েছেন (কাজের মধ্য দিয়ে), তার জন্য ওনাকে সবসময় মনে রাখবো। অনেক ভালোবাসা রইল'।
ইরফানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড। শোকপ্রকাশ করেছেন অমিতাভ বচ্চন, কাজল, অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণ, সোনম কাপুর, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস, ভূমি পেদনেকর সহ বহু তারকা।