প্রিয়জনকে হারানোর ক্ষতি কখনওই পূরণ হওয়ার নয়। আর এই প্রিয় মানুষটি যদি মা-বাবা হন, তাহলে সেই ক্ষতি তো অপূরণীয়। গত তিন মাস আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা বক্সী (পূর্বে বন্দ্যোপাধ্যায়)। বাবাকে হারানোর কষ্টে আজও মুহ্যমান তিনি।
বেশ কয়েকমাস অসুস্থ থাকার পর গত ১০নভেম্বর (২০২৩) হঠাৎই মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর বাবার। গত বছরটা তাই সুদীপ্তার জীবনে ছিল কান্না-হাসির রোলার কোস্টার। এদিকে আবার গতবছরই স্মিতা বক্সীর ছেলে সৌম্য বক্সীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর বেশ ভালোই কাটছিল সুদীপ্তার। আর এই খুশির সময় কাটার কয়েকমাস পরেই বাবাকে হারিয়ে ফেলেন অভিনেত্রী। বাবাকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন সুদীপ্তা। তবে বাবা না থাকলেও তাঁর স্মৃতি সযত্নে সুদীপ্তার কাছে রাখা রয়েছে এখনও। বাড়ির আলমারি থেকে পুরনো ছবির অ্যালবাম, সর্বত্রই রাখা রয়েছে সুদীপ্তার বাবার স্মৃতি।
কাছের মানুষরা চলে গেলে কষ্ট হয়। আবারও প্রাত্যহিক কাজকর্মে সেই কষ্ট ধামাচাপা পড়ে যায়, তবে কখনও তা মুছে যায় না। বাড়ির জিনিস, আনাচকানাচে রাখা নানান নানান জিনিসপত্রে রাখা স্মৃতি আবারও সেই মানুষটিকে আবারও কখনও মনে করিয়ে দেয়। আর তখনই আরও একবার ডুকরে ডুকরে কেঁদে ওঠে মন।
পুরনো অ্যালবাম থেকে বাবার সঙ্গে তোলা এমনই একটা পুরনো ছবি হঠাৎ খুঁজে পেয়েছেন সুদীপ্তা বক্সী (পূর্বে বন্দ্যোপাধ্যায়)। যে ছবি আবারও একবার মনে করিয়ে দিয়েছে তাঁর বাবাকে। আবেগতাড়িত সুদীপ্তা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় তাঁর প্রয়াত বাবার উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন।
সুদীপ্তা লেখেন, ‘বাবা… আজ আমি তোমার আলমারি খুলেছিলাম...। সেখানেই আমাদের প্রচুর ছবি পেলাম। তোমার ব্যবহার করা প্রচুর জিনসও পেয়েছি। সব আছে কিন্তু তুমি কোথায়? আমার এত কষ্ট হয় তোমার জন্য। জানি না, কেন তুমি চলে গেলে? আমায় বলেও গেলে না! আমরা ভালো নেই। তোমার গন্ধ আজও পাই, তোমার উপস্থিতি অনুভূব করি। তুমি সত্যিই বর্তমান, তুমি আমার মধ্যেই থাকো। আমার কাছে এইভাবেই আমায় জড়িয়ে থাকো।’
অভিনেত্রী সুদীপ্তা বক্সী (পূর্বে বন্দ্যোপাধ্যায়) এই পোস্টে সমব্য়থী হয়ে উঠেছেন তাঁর অনুরাগীরা। এক নেটিজেন যিনিও কিনা বাবাকে হারিয়েছেন, তিনিও সুদীপ্ত কষ্ট অনুভব করতে পেরে লিখেছেন, ‘তোমর বাবা আর ঠিক ৫ দিন আগ আমার বাবাও চলে গিয়েছেন একইভাবে।’ সুদীপ্তা তাঁর সেই কথার উত্তরও দিয়েছেন, লিখেছেন, ‘ববাকে বাঁচানো গেল না কিছুতেই।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘প্রতিটা মেয়ের হৃদয়ে বাবার জায়গা টা খুব স্পেশাল’।