অভিনেতা আদিল খান ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে টুইট করেছেনম সম্প্রতি। আর তাতেই তিনি পড়েছেন ট্রোলারদের নিশানায়। গত ১৮ মার্চ তিনি ছবিটি নিয়ে একটা টুইট করেন। তবে এরকম প্রতিক্রিয়া আসতে পারে ভাবেননি। তাই তিনি নিজের সপক্ষে আরও কয়েকটি টুইট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আদিল নিজের স্বপক্ষে লেখেন, তাঁর আগের টুইটে যে ধরনের মন্তব্য তাঁর চোখে পড়েছিল তা তাঁকে নির্বাক করে দিয়েছিল। আদিল আরও লেখেন, তিনি নিজের টুইটের মাধ্যমে কাওকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। সঙ্গে খুব শীঘ্র তিনি ছবিটি দেখবেন বলেও জানান।
কবির সিং, বেল বটম এবং গুড নিউজের মতো ছবিতে অভিনয় করা আদিল হুসেনের টুইটে অনেককে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আদিল টুইট করেছিলেন, সত্যি কথা তো বলতেই হবে, এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। তবে সেই সত্যি কথা নম্রতার সাথে বলতে হবে। অন্যথায় সত্যর মধ্যে যে সৌন্দর্য আছে তা হারিয়ে যায়। প্রতিক্রিয়া শুরু করে, জবাব নয়। আমরা তো কেউই সমাজকে উস্কে দিতে চাই না।
আদিলের এই টুইটে ক্ষুব্ধ হন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমার দর্শকরা। একজন লিখেছেন, ‘তাহলে কি এই বিষয়ের উপর অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করা উচিত?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘মুসলমানের মতো কথা বলবেন না। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে গণহত্যা হয়েছিল... ইসলামিক জিহাদিরা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কীভাবে মেরেছিলল তা জানলে আপনি কেঁপে উঠবেন।’ আরেকটা মন্তব্য ছিল, ‘আপনি অভিনয়ে যতই ভালো করুন না কেন, আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে আপনি শুধুমাত্র জিহাদি মনের, সন্ত্রাসকে সমর্থন করেন।’
আদিল হুসেন তাঁর জবাবি টুইটে লেখেন, ‘আমি উত্তর কোরিয়ার একটি গ্রামে ছিলাম ৭ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। ১৯ তারিখ সন্ধ্যায় মুম্বাই পৌঁছই এবং অনুপম খেরজির সাথে দেখা হয়ে যায়। আমি তাঁকে তখনই বলেছিলাম, আমি শীঘ্রই কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি দেখব। পরের দিন থেকে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং এখনও ছবিটি দেখিনি। তাই আমার টুইট ছিল শিল্প সম্পর্কে আমার সাধারণ মন্তব্য। আমি আজও এই সিনেমার পাশেই আছি।’
বিবেক অগ্নিহোত্রি পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। তবে দেশের বড় একটা অংশ এখন ক্ষোভে ফুঠছে। ১৯৯০-র অত্যাচার দেখার পর ছবি নিয়ে তাঁদের আবেগ আরও গাঢ় হয়েছে। তাই বিপক্ষে কেউ কথা বললেই তাঁকে ট্রোল করার, তাঁকে বয়কট করার, তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ার চল তৈরি হয়েছে!