কয়েকমাস আগেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থার বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার প্রাণ গেল পেরুর প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র তারকা থাইনা ফিল্ডস-এর। জানা যাচ্ছে থাইনার বয়স মাত্র ২৪। তিন পেরুর সেরা পরিচিত প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র তারকাদের মধ্যে একজন ছিলেন। চলতি সপ্তাহেই সপ্তাহেই থাইনা ফিল্ডসকে তাঁর নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র নির্মাতা আলেজান্দ্রা সুইট অভিনেত্রী থাইনা ফিল্ডসের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। পেরুর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেন, ‘আমি এই মৃত্যুর বিষয়ে আর কোন বিবরণ দিতে পারছি না। কারণ আমি এই খবরে ভেঙে পড়েছি।’ প্রসঙ্গত আলেজান্দ্রা সুইট থাইনা ফিল্ডসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলেই জানা যায়।
প্রয়াত তারকার ফিল্ডসের মৃত্যুর বিষয়ে আলেকজান্দ্রা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, আমি শুধু আপনাদের ওঁর জন্য প্রার্থনা করতে বলব। যাঁরা ওঁর প্রকৃত অর্থে প্রশংসা করেছেন, এমন নয় যে ওঁকে শুধুই খারাপ দৃষ্টিতে দেখেছেন। আমি নিশ্চিত যে ও ছিল একজন ছোট্ট দেবদূত।’
আরও পড়ুন-‘পুলিশের মার খেয়েছি, জেলও খেটেছি’, এবার লোকসভা ভোটের আগে বড় ঘোষণা পঙ্কজ ত্রিপাঠির
এছাড়াও মিল্কি পেরু নামে এক প্রযোজনা সংস্থা যাঁর অভিনেত্রী ফিল্ডসের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁরও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা লেখেন, ‘আমরা এখনও এটা বিশ্বাস করতে পারছি না, আমরা আপনাকে ছাড়া ভাবতে পারি না। আমরা আপনাকে আরও একবার দেখতে চাই।’ লেখা হয়, ‘আশা করি কেউ আমাদের এই খারাপ স্বপ্ন থেকে জাগিয়ে তুলবে। আপনি সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। আমাদের আপনার জীবনের অংশ হতে দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, গত আট মাস আগেই থাইনা ফিল্ডস ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থার বিষয়ে সরব হয়েছিলেন। বলেন, ‘আমি প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রী তৈরি করা শুরু করার পরে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি।’ ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়ে ফিল্ডসে বলেন, ‘প্রথমে অনেকে ভেবেছিল যে আমাকে কাজে নিয়ে ওঁরা আমার সঙ্গে যা খুশি তাই করতে পারে। সেদিন আমি বাড়ি ফিরে স্নান করেছিলাম এবং ভীষণ কেঁদেছিলাম। এটা আমার সঙ্গে অনেকবার ঘটেছে। একজন মহিলা হওয়া এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়বস্তু তৈরি করা খুব কঠিন, যখন সমাজ আক্ষরিক অর্থে খুব খারাপ।’