সদ্য ৩৫-এ পা দিয়েছেন মিমি। জন্মদিন মিটতেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ। লোকসভা ভোটের ঠিক আগে যাদবপুরের ‘জনপ্রতিনিধি’ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনের পদ ছাড়লেন। যা নিয়ে শোরগোল রাজ্য়-রাজনীতির অন্দরে। টলিউডের সহকর্মী দেবের পথে হেঁটেই সাংসদ ছাড়েন বাড়তি দায়িত্ব।
কেন এই সরকারি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মিমি, তা স্পষ্ট নয়। সন্দেশখালিতে যখন উত্তপ্ত রাজ্য, তার মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত নায়িকার। নলমুড়ি আর জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনে ছিলেন সাংসদ-নায়িকা মিমি। ইতিমধ্য়েই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তারকা সাংসদ। সেখানে বড়বড় হরফ লেখা, ‘২০১৯ থেকে ’২৪ পর্যন্ত আমার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের যে সমর্থন আমি পেয়েছি, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি চেয়ারপার্সন হিসাবে চিকিৎসক, নার্স এবং সর্বোপরি রোগীদের কল্যাণার্থে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’
সরকারি পদ থেকে দেবের পদত্যাগ ঘিরে গত কয়েকদিনে কম জলঘোলা হয়নি। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটির হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপরই বাংলার রাজনীতির অঙ্গনে নানা জল্পনা ছড়ায়। শোনা যায়, দেব নাকি রাজনীতি ছাড়ছেন। এর মাঝেই গত শনিবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে দেব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে দেবের তা স্পষ্ট হয়নি। বৈঠক শেষে সেদিন সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে হাসপাতালে যান দেব। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না!’ তারপর থেকেই কানাঘুষো ঘাটালে তিন নম্বরবার দেবকেই প্রার্থী করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মিমি। প্রায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪৯৯ ভোটে জিতেছিলেন নায়িকা। কিন্তু মিমি সাংসদ হিসাবে পাঁচ বছরে কতটা সফল সেই নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয়বার কি ভোটের টিকিট পাবেন তিনি? মিমি নিজে কি ফের ভোট ময়দানে নামতে প্রস্তুত? জল্পনা জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিমিকে বাংলা ছবির পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘রক্তবীজ’ ছবিতে। গত বছরই মুক্তি পেয়েছে মিমি অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি ‘শাস্ত্রী বিরুদ্ধ শাস্ত্রী’। পোস্ত-র হিন্দি রিমেক এই ছবি।