উর্মিলার অভিনয় দেখে একবার ঝরঝরিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন ফিরোজ খান! যা হয়েছিল..

‘আমি কাঁদতে পছন্দ করি না’, নায়িকার অভিনয় দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ার পর উর্মিলাকে এ কথা বলেছিলেন ফিরোজ।

উর্মিলা মাতন্ডকর

বলিউড অভিনেত্রী উর্মিলা মাতন্ডকর। বলিউডে তিনি ‘রঙ্গিলা’ গানের জন্য দারুণ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর অভিনয়, পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন সকল ভারতবাসী এবং আজও তা সমান ভাবে জনপ্রিয় ও সমাদৃত। এরপরই একই ধরণের চরিত্রে অভিনয় করবেন না, তাই টাইপোকাস্ট তকমা ভাঙতে চেয়েছিলেন তিনি। অভিনয় করেছেন অন্য ধরণের চরিত্রে। প্রয়াত ফিরোজ খান এবং অমিতাভ বচ্চন কীভাবে তার অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন সেই সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নায়িকা।

একটি সাক্ষাত্কারে, উর্মিলা জানিয়েছিলেন, ফিরোজ ‘প্যায়ার তুনে কেয়া কিয়া’র শেষ দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। ছবি দেখে কী বলেছিলেন, সেকথাও জানান। তিনি অমিতাভের কাছ থেকে একটি প্রশংসামূলক চিঠি পাওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। 

‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উর্মিলা জানিয়েছিলেন, ‘সত্য’ এবং ‘কৌন’এর মতো 'ঝুঁকিপূর্ণ' ছবির বিরুদ্ধে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। তবে আরও ‘২৫টা রঙ্গিলা’ করার পরিবর্তে, তিনি অন্যান্য ঘরানার চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘এক অভিনতার সঙ্গেই একের পর এক ছবি করে গিয়েছেন কিছু অভিনেত্রী। যদি আপনি ছবিগুলির নাম জেনে থাকেন, বুঝতে পারবেন একই পোশাকে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। আল্পসে গিয়ে হাড় ভাঙা পর্যন্ত একই ধরণের নাচে নেচে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমি প্রতিবারই আলাদা কিছু করার চেষ্টা করার করেছি’। 

উর্মিলা ‘পেয়ার তুনে কেয়া কিয়া’ ছবিতে একজন প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় সম্পর্কে কথা বলেছেন, ‘আমার মনে আছে প্রয়াত ফিরোজ খান আমাকে তার নিজস্ব স্টাইলে বলেছিলেন, শেষ দৃশ্যে তুমি আমাকে কাঁদিয়েছ। আর আমি কাঁদতে পছন্দ করি না’। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অমিত জি (অমিতাভ বচ্চন) আমাকে 'ভূত' দেখার পরে একটি প্রশংসাসূচক চিঠি লিখেছেন। এয়ারপোর্ট, রেস্তোরাঁর লোকজন… ‘এক হাসিনা থি’-তে আমাকে দেখে কতটা প্রশংসা করেছেন সেই সম্পর্কে। বাণিজ্যিক হিট না হলেও, ছবিটি সেই সময়ের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে ছিল। অনেক বাধা সত্ত্বেও তৈরি হয়েছিল। খুব কম অভিনেতা সেই সময় এই ধরণের অভিনয় করতে পরেছিল এবং এখনও প্রভাব তৈরি করতে পারে'।

উর্মিলা ‘রঙ্গিলা’, ‘সত্য’, ‘জুদাই’, ‘ভূত’ এবং ‘পিঞ্জর’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। এখন তিনি রাজনীতিতে কেরিয়ার গড়ছেন। কংগ্রেস দলের প্রাক্তন সদস্য তিনি। ২০২০ সালে শিবসেনায় যোগদান করেছেন।