প্রথম ধারাবাহিকই সাফল্য এনে দিয়েছে অহনা দত্তকে। খলনায়িকা মিশকাকে ছাড়া এখন অচল অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিক। এমনকী, মাঝে কয়েকদিন টানা মিশকাকে না দেখাতেই, পড়ে গিয়েছিল শো-এর টিআরপি। তবে কম বয়সে যেমন সাফল্য এসেছে অহনার জীবনে, তেমনই এসেছে বিতর্কও। যার কারণ এই ধারাবাহিকেরই রূপটান শিল্পী দীপঙ্কর রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক।
অহনা আর দীপঙ্করের আলাপ অনুরাগের ছোঁয়া-তে কাজ করার সময়তেই। তবে মেয়ের প্রেম মেনে নিতে পারেননি অহনার মা কখনোই। মায়ের শত আপত্তিতেও দীপঙ্করকে ছাড়তে রাজি হননি অহনা। এমনকী, ভালোবাসার জন্য মাকে ছেড়েও বেরিয়ে এসেছেন। তবে হঠাৎ কেন অহনার মুখে এল মায়ের প্রসঙ্গ!
অহনা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মা চান্দ্রেয়ী নাকি বারবার চেষ্টা করেছিলেন অনুরাগের ছোঁয়া থেকে চাকরি যাক দীপঙ্করের। মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়াতে কোনও কসুরই বাকি রাখেননি। এদিকে অহনার মায়ের দাবি, দীপঙ্কর এর আগে বিয়ে করেছিলেন। এমনকী, তাঁর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই নাকি ডিভোর্স দেন স্ত্রীকে। শুধু তাই নয়, স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর যেই মেয়েকে একা হাতে মানুষ করতে, ছেড়েছিলেন সর্বস্ব, সেই মেয়েই প্রেমিককে পেয়ে আর সম্পর্ক রাখে না তাঁর সঙ্গে। একে-অপরকে নিয়ে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন মা-মেয়ে।
২৬ জানুয়ারির সকালে একটি পোস্ট শেয়ার করলেন অহনা। যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁর গাড়িতে বসে অহনা। আর তাঁর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে দীপঙ্কর। সঙ্গে জুড়লেন লম্বা ক্যাপশান। যাতে ভালোবাসা জাহির হচ্ছে প্রেমিককে নিয়ে।
অহনা লিখলেন, ‘ঠিক স্টেজ এ ওঠার আগে আমার হাতটা ছেঁড়ে দিয়ে স্টেজের এক পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে! এই বালিশটা বেশিরভাগ ওর কোলের ওপর থাকে আর তার ওপরে থাকে আমার মাথা। কিন্তু আজ ও এতটাই ক্লান্ত যে ঠিক বিপরীতটা হলো।’
‘আমি বিভিন্ন জায়েগায়ে শো করছি ১ বছর হয়ে গেল এবং খুব কম দিনেই আমি ১০০তম শো অতিক্রম করলাম! আমার সাথে প্রত্যেকটা শো-তে যেই মানুষটা যায়, তিনি হলেন আমার একমাত্র ভালোবাসার মানুষ। যখন ওকে বললাম যে আমি ঠিক পারব আমাকে ছেড়ে দাও তখন আমাকে বলল ‘তুই বড় হয়ে গেলে একা যাস, আমি ছেড়ে দেবো , আরে বাবা একটা দায়িত্ব আছে তো নাকি’।’, আরও লিখলেন অহনা।
তাঁর বিশ্বাস মা সঙ্গে থাকলেও এভাবেই খেয়াল রাখত। সেকথাই লিখলেন। পোস্টের শেষে অহনা লিখেছেন, ‘হয়তো মার সাথে থাকলে ম- ও তাই করত, কিন্তু তুমি তো আমাকে জন্ম দাওনি, তাহলে প্রথম দিন থেকে এত নিঃস্বার্থ হলে কীভাবে যে নিজের পুরো লাইফ এর শিডিউলটাই পাল্টে দিলে! তোমার কাজ আর আমার ছুটি থাকা সত্ত্বেও আমার শো-তে প্রত্যেকদিন গিয়ে একদিন ও প্রশ্ন করলে না যে, তোর কাজ এর জন্য প্রত্যেকদিন আমি কেন রাত জাগব আবার ৭টার কল অ্যাটেন্ড করবো। অনেক ভাগ্য করে পেয়েছি তোমাকে। হয়তো এটাকেই Alpha Male বলে।’